সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্লাস্টিকের হাতঘড়িটি কে নেবে। এনিয়েই শুরু মতবিরোধ। আর তারই বলি হতে হল বছর ১২-র নাবালককে। মৃতের নাম সানি। অভিযোগ, গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে সানিকে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে এলাকার তিন নাবালকের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গাজিয়াবাদারে আজাদ বিহারের খোদা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, আজাদ বিহারে এক কামরার ভাড়াবাড়িতে বাবা-মা, ও ভাইবোনের সঙ্গে থাকত সানি। এদিন বাড়ির সামনের সিঁড়িতে ভাই সাগরের সঙ্গে বসেছিল সে। কিছুক্ষণের জন্য বাড়ির ভেতরে গিয়েছিল সাগর। ফিরে দাদাকে দেখে কান্নাকাটি শুরু করে সে। তার কান্নার আওয়াজেই প্রতিবেশীরা এসে দেখেন গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে আছে সানি। কাপড়ের একপ্রান্ত তার গলায় পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে। অন্য প্রান্ত বাড়ির সদর দরজার কড়ায় আটকে দেওয়া হয়েছে। তখনই জানতে পারেন, একটা প্লাস্টিকের ঘড়িকে কেন্দ্র করে স্থানীয় তিন নাবালকের সঙ্গে বিবাদে জড়ায় সানি। ঘড়িটি তার হাতেই ছিল। সেই তিনজনও নিজেদের ঘড়ির মালিক বলে দাবি করে। সানির কাছ থেকে ঘড়িটি কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে। বলা বাহুল্য, নাবালক ঘড়িটি দিতে চায়নি। অভিযোগ, ঘড়িটি পেতে এবার সানির গলাতে কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে দেয় তিন গুণধর। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে নাবালক, বুঝতে পেরেই সেখান থেকে চম্পট দেয় তারা। এরমধ্যে দাদার খোঁজে বাড়ির বাইরে চলে এসেছে সাগর। দেখে সিঁড়িতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে সানি। সঙ্গেসঙ্গেই কান্নাকাটি শুরু করে দেয় সে। প্রতিবেশীরা নাবালককে তড়িঘড়ি স্থানীয় লালবাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ততক্ষণে প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মৃতের বাবা রাজু।
ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় স্বভাবতই বিহ্বল রাজু ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে তিন নাবালকের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে শুরু হয়েছে তল্লাশি। সামান্য প্লাস্টিকের হাতঘড়িকে কেন্দ্র করে নাবালকের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.