সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স মাত্র ১২। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ভীম যাদব। কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধিতে তাকে সম্মান জানাবেন বড়রাও। তার কীর্তিতেই বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল প্যাসেঞ্জার ট্রেন। প্রাণ বাঁচল ১০০-রও বেশি রেলযাত্রীর। খুদের সাহস ও বুদ্ধিকে কুর্নিশ জানালেন বীরেন্দ্র শেহবাগও।
বিহারের মঙ্গলপুরের বাসিন্দা ভীম। রেল লাইনের ধার দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎই গোরক্ষপুর-নার্কাটিয়াগঞ্জ রেললাইনে ফাটল নজরে পড়ে তার। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করেনি ভীম। হিন্দি ছবির নায়কদের মতোই গায়ের লাল রঙের পোশাকটি খুলে ফেলে সে। তারপরই হাওয়ায় নাড়াতে থাকে জামাটি। সামনে থেকে আসতে থাকা ট্রেনের চালক যাতে তাই সিগন্যাল বোঝে সে চেষ্টাই চালিয়ে যায় বুদ্ধিমান ওই কিশোর। কিন্তু ভীমের কাণ্ডকারখানা দূর থেকে প্রথমে ধরতে পারেননি চালক। পরে কৌতূহলের বশেই এমার্জেন্সি ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করান তিনি। তারপর ট্রেন থেকে নেমে এসে লাইনের ফাটল দেখেন তিনি। ভীমের উপস্থিত বুদ্ধির জন্য একশোরও বেশি যাত্রী প্রাণে রক্ষা পেলেন। ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল ট্রেনও।
Meet Bhim Yadav,a true hero who saved the 100’s of lives by making a speeding train stop before it could cross over a broken train track.Bhim removed his red shirt & started waving it around frantically to catch attention of the train driver,who applied emergency brakes. My Hero! pic.twitter.com/NDi23NunT1
— Virender Sehwag (@virendersehwag) December 24, 2017
Bhim Yadav,a true hero who saved the 100’s of lives by making a speeding train stop before it could cross over a broken track.He removed his red shirt & started waving it around frantically to catch attention of the train driver,who applied emergency brakes. My Hero @PiyushGoyal pic.twitter.com/pvtXjrjZYa
— Rajyavardhan Rathore (@Rathore_Fans) December 24, 2017
ভীমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই। টুইট করে ভীমকে নিজের ‘হিরো’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যান বীরুও। তাঁর সাহস ও বুদ্ধির জন্য শুভ কামনাও জানিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। আর এমন কাজের পর এলাকায় এখন ভীম নায়কের মর্যাদা পাচ্ছে। বন্ধুরা তাকে ডাকছে ‘ছোটা ভীম’ বলে। স্থানীয় জেলা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক হরেন্দ্র ঝা ভীমের প্রশংসা করে বলেন, “এটি নিঃসন্দেহে দারুণ সাহসের কাজ। আর এই সাহসিকতার জন্য ভীমকে আমরা অর্থ অথবা অন্য কোনওভাবে পুরষ্কৃত করব। অঙ্ক ও বিজ্ঞানের প্রিয় ভীমের পরিবার আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নয়। তাই পড়াশোনা করে চাকরির ইচ্ছা থাকলেও সে ইচ্ছা পূরণ হবে কি না জানা নেই তার। তবে তার প্রচেষ্টায় যে এত মানুষের প্রাণ বেঁচেছে, তাতে দারুণ খুশি বিহারের কিশোর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.