সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) মচ্ছু নদীতে সেতু বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩২। এর মধ্যে রয়েছে রাজকোটের বিজেপি সাংসদের পরিবারের ১২ জন সদস্য। গেরুয়া সাংসদ গতকালকের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একথা জানান। সাংসদের বোনের পরিবারের মৃতদের মধ্যে ৫ শিশু রয়েছে। ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের মধ্যেও বিজেপি সাংসদ আস্বস্ত করেন, প্রশাসন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। নিহতদের পরিবার ও আহতদের সবরকম সাহায্য করা হবে।
রাজকোটের ওই বিজেপি সাংসদ হলেন মোহনভাই কল্যানজি কুন্দরিয়া (Mohanbhai Kalyanji Kundariya)। কুন্দরিয়া দাবি করেন, তাঁর পরিবারের ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে মোরবির ভয়ংকর ঘটনায়। বিজেপি সাংসদ বলেন, “আমি পরিবারের ১২ জনকে হারিয়েছি এই দুর্ঘটনায়। এর মধ্যে ৫ শিশু রয়েছে। যাদের হারিয়েছে, তারা আমার বোনের পরিবারের সদস্য।” এইসঙ্গে গেরিয়া সাংসদ জানান, তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তিনি বলেন, এনডিআরএফ (NDRF), এসডিআরএফ (SDRF) ও স্থানীয় প্রশাসন লাগাতার উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসাপাতালে পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি মৃতদেহ উদ্ধারে রাত থেকেই নৌকোর ব্যবহারে নদীতে অপরেশন চলছে।
রবিবার সন্ধেবেলা ব্রিজ (Morbi Bridge Collapse) ভেঙে পড়ার পরেই উদ্ধারকাজ শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সেই কাজে যোগ দেয় ভারতীয় সেনা। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সোমবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “প্রায় ২০০ জন ব্যক্তি উদ্ধারকাজে শামিল হয়েছেন। এখনও নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি চলছে। গোটা ঘটনায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
এদিকে ব্রিজের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সংস্থার বিরুদ্ধে গণহত্যার চেষ্টার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে গুজরাট পুলিশ। মোরবি বিপর্যয়ে ইতিমধ্যে এক বাঙালি যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গোটা ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাও। ইতিমধ্যেই ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.