সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উদ্দেশ্য লাদাখ (Ladakh) সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার। যাতে ভারত ও চিনের মধ্যে যে উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এর আগেও বার দুই একই ইস্যুতে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনও সমাধানসুত্র বের হয়নি। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হল না। প্রায় ১২ ঘণ্টার ক্রপ কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকেও লাদাখ সীমান্তে থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সমাধানসুত্রে পৌছতে পারলেন না ভারত ও চিনের সেনা আধিকারিকরা। অন্তত এমনটাই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
মঙ্গলবার সীমান্তের ওপারে মালডোতে চিনা সেনার ছাউনিতে দুই দেশের ক্রপ কম্যান্ডার পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠক হয়। আগের মতোই ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সেনাবাহিনীর ১৪ নম্বর কোরের কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। অন্যদিকে চিনের তরফে বৈঠকে ছিলেন পিপলস লিবারেশন আর্মির দক্ষিণ জিনজিয়াং মিলিটারি রিজিয়নের কম্যান্ডার জেনারেল লিউ লিন। কিন্তু ১২ ঘণ্টার সেই বৈঠকের পরও কোনও সমাধানসুত্রে পৌঁছতে পারেননি দুই দেশের সেনাবাহিনীর কম্যান্ডাররা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে চিনের তরফে পূর্ব লাদাখে দুই দেশের ‘সীমানা’ পুনর্বিন্যাসের দাবি জানানো হয়। যা মানতে চাননি ভারতীয় আধিকারিকরা। চিনারা ভারতীয় ভূখণ্ডের একটা বড় অংশ নিজেদের মানচিত্রে ঢুকিয়ে নিতে চাইছে। যা ভারতের পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব।
এদিনের বৈঠকে ভারত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, সীমান্তে চিনকে এপ্রিলের আগের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যদিকে, চিনের দাবি তাঁরা গালওয়ান (Gallowan) থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না। আবার প্যাংগং (Pangong Tso) থেকে ভারতীয় সেনাকে ২-৩ কিলোমিটার পিছিয়ে আসতে হবে। যার অর্থ প্যাংগংয়ের কাছে ফিঙ্গার ৪ (যা কিনা শুরু থেকেই ভারতের অন্তর্গত) থেকেও পিছিয়ে আসতে হবে ভারতীয় সেনাকে। যা ভারতের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। দীর্ঘ আলোচনার পরও নিজেদের দাবিতে অনড় দুই দেশ। স্বাভাবিকভাবেই মঙ্গলবারের বৈঠকে চূড়ান্ত কোনও সমাধানসুত্র বের হয়নি। তবে, এই পর্যায়ের আলোচনা আগামী দিনেও চলবে বলে জানা গিয়েছে সেনা সুত্রে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.