সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত ‘ক্যাগ’ রিপোর্ট পেশ করাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দিল্লি বিধানসভায়। উপরাজ্যপালের ভাষণ চলাকালীনই ব্যাপক বিক্ষোভ আপ বিধায়কদের। যার জেরে ১০ জন আপ বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্ত।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল জমানায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবগারি কেলেঙ্কারি। সেই সংক্রান্ত ক্যাগ রিপোর্ট দীর্ঘদিন খামবন্দি হয়ে পড়েছিল। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দিল্লিতে আপ যে আবগারি নীতি চালু করেছিল তা রাজধানীর কোষাগারে বড় ধাক্কা দিয়েছে। অন্তত ২ হাজার ২৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দিল্লি সরকারের। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আপ সরকারের আমলে ঘোষিত ওই আবগারি নীতিতে প্রচুর ত্রুটি ছিল। এবং সেটা প্রকশ্যে আসার পরও ব্যবস্থা নেয়নি দিল্লি সরকার। শুধু আবগারি কেলেঙ্কারি নয়, আপ জমানার মোট ১৪টি সিএজি রিপোর্ট মঙ্গলবার পেশ হওয়ার কথা ছিল বিধানসভায়। এর মধ্যে কেজরিওয়ালের ‘শিশমহল’ সংক্রান্ত রিপোর্টও রয়েছে।
মঙ্গলবার উপরাজ্যপালের ভাষণের পরই বিধানসভায় রিপোর্টগুলি পেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উপরাজ্যপালের ভাষণের সময়ই বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন আপ বিধায়করা। তাঁদের বক্তব্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত নিজের দপ্তর থেকে বাবাসাহেব আম্বেদকরের ছবি সরিয়ে দলিতদের অপমান করেছেন। তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। আপের বিক্ষোভে উপরাজ্যপালের ভাষণ চলাকালীন বিধানসভায় রীতিমতো হট্টগোল শুরু হয়। স্পিকার বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও নিরস্ত হননি অতিশী, গোপাল রাইরা। ফলে বাধ্য হয়ে ২০ জন আপ বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার।
সাসপেন্ড হওয়ার পরও অবশ্য বিধানসভা চত্বর ছাড়েননি আপ বিধায়করা। বিধানসভা চত্বরেই ধরনায় বসে পড়েছেন অতিশীরা। তাঁদের সাফ দাবি, যতক্ষণ না আম্বেদকরের ছবি যথাস্থানে বসানো হচ্ছে ততক্ষণ বিক্ষোভ চলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.