Advertisement
Advertisement

৫ মাসে ১১১টি শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ গুজরাট সরকারের

বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন করা হয়েছে।

111 infants dead in Adnani run hospital, investigation ordered
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 26, 2018 12:41 pm
  • Updated:May 26, 2018 12:41 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ মাসে প্রায় ১১১টি শিশুর মৃত্যু নিয়ে এখন ফাঁপরে গুজরাটের জি কে জেনারেল হাসপাতাল। সম্প্রতি গুজরাট সরকার এই শিশুমৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এই হাসপাতালটি আদানি এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের অধীনস্থ।

হাসপাতালের তরফে এনিয়ে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তা থেকে জানা গিয়েছে, এবছর গোড়া থেকে শুরু করে ২০ মে পর্যন্ত সেখানে ১১১টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে যথোচিত কারণও দেখিয়েছে। তাদের মতে দেরিতে হাসপাতালে ভরতি বা অপুষ্টি এর জন্য দায়ী। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই বয়ানে সন্তুষ্ট হয়নি গুজরাট সরকার। সরকারের তরফে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। তারা এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখবে। গুজরাটের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিশনার জয়ন্তী রাভি জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে। শিশুমৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। তারপর রিপোর্ট জমা দেবেন। তাঁদের জমা দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Advertisement

[ আন্দামানে প্রবেশ বর্ষার, সময়ের আগেই আগমনের সম্ভাবনা বাংলায় ]

হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট জি এস রাও বলেছেন, ১ জানুয়ারি থেকে ২০ মে পর্যন্ত হাসপাতালে প্রায় ৭৭৭ শিশু ভরতি হয়েছিল। এর মধ্যে হাসপাতালে জন্মেছে এমন শিশুও রয়েছে। এই ৭৭৭টি শিশুর মধ্যে ১১১টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্যকে যে গুজরাট সরকার খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না, তা বলাই বাহুল্য। গত বছর এই হাসপাতালে ২৫৮টি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৬ সালে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৮৪ ও ২০১৫ সালে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৬৪। রাও বলেছেন, গত বছরের শতকরা হারের তুলনায় এবছরের শিশুমৃত্যুর হার কম। এনিয়ে তাঁরা কাজ করছেন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটবে না বলেই আশা করছেন তিনি। তাঁর মতে, কচ্ছ জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ভুজ পর্যন্ত আসতে অনেক সময়ের অপচয় হয়। ফলে শেষ মুহূর্তে আর কিছু করার থাকে না। এছাড়া প্রি-ম্যাচিওর বার্থও শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন তিনি। রাও আরও একটি বিষয়কে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তা হল, মায়ের সঠিক ডায়েট না থাকায় অপুষ্টিতে ভোগে মায়েরা। এর প্রভাব পড়ে শিশুর উপর। সেই কারণে গর্ভেই শিশুর মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়। শিশুমৃত্যুর সেটিও অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন তিনি।

[ OMG! সাতসকালে বাড়িতে এক কাপ গরম চা নিয়ে হাজির হবে ড্রোন! ]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement