সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেভাবেই হোক জেল থেকে বের হতে হবে। কিন্তু উপায় কী? ভেবে ভেবে এক ভয়ানক ফন্দি আঁটল কয়েদিরা। নিজেদের মধ্যে মারামারি করে জেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করল বন্দিরা। শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনা ঘটেছে তিহার জেলের কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া কস্তুরি ওয়ার্ডে। শুক্রবার ছয় বন্দি প্রথমে মারামারি শুরু করে। তারপর সেই গন্ডগোল পরে বিরাট আকার নেয়। শেষপর্যন্ত এই ঘটনায় ১৭ জন কয়েদি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার মধ্যরাতে। কর্তৃপক্ষের কাছে তিন নম্বর জেল থেকে ফোন আসে। জানা যায়, ওই ওয়ার্ডে বন্দিদের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার সেলে থাকা ছয় বন্দি গন্ডগোলের সূত্রপাত করে। এরপর তাদের আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এরপর ওই ওয়ার্ডের অন্য বন্দিরাও সেল থেকে বেরনোর জন্য দাবি করে। ওয়ার্ডেন তাদের কথা না শোনায় বন্দিরা লুকিয়ে রাখা ধারালো অস্ত্র বের করে নিজেদের কানে, গলায়, মুখে, হাতে এবং বুকে আঘাত করতে থাকে। একে এপরকে অস্ত্র দিয়ে আঘাতও করে। তখন বাধ্য হয়ে জেল কর্তৃপক্ষ আরও নিরাপত্তারক্ষী ডেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
জানা গিয়েছে, আরও ১১ জন বন্দিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুল্যান্সেও বাধে গন্ডগোল। অ্যাম্বুল্যান্সে ভাঙচুর চালায় আহত বন্দিরা। এর আগেও কস্তুরি ওয়ার্ডের কয়েদিরা ঝামেলা করেছিল। তাই তাদের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, হাসপাতালে নিয়ে গেলেই কোনওভাবে বন্দিদের কাছে তামাক, নিষিদ্ধ মাদক বাইরে থেকে পৌঁছয়। সেই কারণে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বন্দিরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সেলের মধ্যে ধারালো অস্ত্র এল কোথা থেকে? কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণত বাইরে থেকেই এই অস্ত্র বন্দিদের কাছে এসে পৌঁছয়। ধাতব পাইপ, স্টিলের চামচ, পাখার ব্লেড, কাচ, ব্লেডের মতো জিনিস টেনিস বল, মোজা এবং আরও অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে জেলে ঢোকে। যা অনেক সময়ই কারারক্ষীদের নজর এড়িয়ে যায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.