সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতেও বাড়ছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। হালকা সর্দি-কাশি নিয়ে চিন থেকে দেশে ফিরেছেন ১১জন ভারতীয়। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালেরর আইসোলেশন ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন কেরল, ২ জন মুম্বই, একজন বেঙ্গালুরু ও আরেকজন হায়দরাবাদের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে কেরলের করোনা ভাইরাস সংক্রাম্ত বিভিন্ন বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অমর ফেতলে জানান, “৭ জন চিন থেকে থেকে ফিরেছেন। তাদের সর্দি-কাশির হালকা উপসর্গ রয়েছে। চিনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কার্যত মহামারির আকার নিয়েছে। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না সরকার। আইসোলেশন বিভাগে রেখে তাদের চিকিৎসা করা হচ্ছে।”
এদিকে ফ্রান্সেও থাবা বসালো করোনা ভাইরাস। ফ্রান্সের প্যারিস শহর-সহ প্রান্তিক এলাকার তিনজনের দেহে এই রোগের জীবাণু মিলেছে বলে খবর। ইতিমধ্যে তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনজনই সম্প্রতি চিন থেকে ফিরেছিলেন। প্রসঙ্গত, ইউরোপের কোনও দেশে এই প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা সামনে এল। ফলে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই মারণরোগে চিনের মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিনের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ১০০০ জন সংক্রামিত হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে চিনে ইউহান প্রদেশের পাশাপাশি আরও ১১টি শহরকেও কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।তাতেও কাজের কাজ হচ্ছে না বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, রোগের হাত থেকে বাঁচতে চিন, হংকং থেকে ভারতে ফিরেছেন প্রায় ২০ হাজার নাগরিক। দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে তাঁদের থার্মাল টেস্ট করা হচ্ছে। কারোর মধ্যে সক্রমণের সামান্য আঁচ পেলেও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংক্রমণ না থাকলেও চিন ফেরত ব্যক্তিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। ফলে তাঁদের কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
চিনের ইউহান অর্থাৎ যেখানে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি, সেখানে বহু ভারতীয় পডু়য়ারা মূলত চিকিৎসাবিজ্ঞানের জন্য উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য যান। সেখানে আটকে পড়েছেন ২৫ জন ভারতীয় ছাত্রছাত্রী। এঁদের মধ্যে ২০ জন কেরলের বাসিন্দা। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্র। ইউহানের ৩০০ কিমি দূরে ইচাঙের একটি হাসপাতালে ইনটার্ন হিসেবে কর্মরত ১৪ জন কুনমিং বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.