সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাসের (Hathras Rape Case) নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল মূল অভিযুক্তের। নির্যাতিতার ভাইয়ের ফোন থেকে অভিযুক্তের মোবাইলে শতাধিকবার ফোন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের (UP Police) এমন দাবিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অন্যদিকে, এদিন হাথরাসে এক ছ’বছরের কিশোরীর মৃত্যু হয়। মেয়েটির মামা ও এক ১৫ বছরের নাবালক তার উপর দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অত্যাচার করছিল। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিষয়টি সামনে আসে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন তার মৃত্যু হল।
নির্যাতিতার পরিবার ও মূল অভিযুক্ত সন্দীপ সিংয়ের ফোনের কল ডিটেলস খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মূল অভিযুক্ত সন্দীপ সিং ও নির্যাতিতা একই গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, গত বছর ১৩ অক্টোবর থেকে দু’টি নম্বরের মধ্যে ফোনালাপ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে শেষ ফোনালাপের রেকর্ড মিলেছে। সন্দীপের ফোনে নির্যাতিতার ভাইয়ের নামে থাকা সিম কার্ড থেকে ৬৪ বার ফোন গিয়েছে। তরুণীর পরিবারের ফোনে ৪২ বার ফোন এসেছে। দু’টি নম্বরের মধ্যে কখনও কখনও তো ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরেও কথা হয়েছে। তবে সেই তরুণী নাকি তাঁর ভাই, কার সঙ্গে সন্দীপের কথা হত, তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি পুলিশ। দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছে তাও এখনও অজানা।
এই বিষয়টি সামনে আসার পরই বিজেপি নেতা অমিত মালব্য নির্যাতিতার ভাইকে জিজ্ঞাসবাদের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, দুজনের মধ্যে কী কথা হত, নির্যাতিতার সঙ্গে মূল অভিযুক্তর কোনও যোগাযোগ ছিল কি না খতিয়ে দেখুক পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশও এই ধর্ষণকাণ্ডের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে চাইছে। এদিকে নির্যাতিতার নাম-ছবি প্রকাশ্যে আসায় ক্ষুব্ধ জাতীয় মহিলা কমিশন। এ নিয়ে তাঁরা বিজেপির আইটি সেল, নেতা অমিত মালব্য-সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সংবাদমাধ্যমকে নোটিশ পাঠিয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসে এক দলিত তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চার উচ্চবর্ণের যুবকের বিরুদ্ধে। যদিও সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ-প্রশাসন দাবি করেছে, কোনও ধর্ষণ হয়নি। এই হলফনামাকে সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করেছে বিরোধী দলগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.