সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেলেঙ্গানা পেরেছে, উত্তরপ্রদেশ কবে পারবে? পশু চিকিৎসককে ধর্ষণে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মারার পর এমনই প্রশ্নই ঘুরছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। উন্নাওয়ে নির্যাতিতার মৃত্যু যোগী প্রশাসনের উপর চাপ আরও বাড়িয়েছে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলার বিচার হবে আশ্বাস দিয়েও রেহাই পাননি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বসপা নেত্রী মায়াবতী-সহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী। এবার তাঁদের জবাব দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যার জেরে নতুন করে বির্তক শুরু হযেছে।
বসপা নেত্রীর অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ চলছে। একের পর এক পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা ঘটলেও হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পুলিশ। অপরাধীদের সঙ্গে অতিথির মতো আচরণ করছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লির হায়দরাবাদ পুলিশের কাছ থেকে শেখা উচিত। কিন্তু এখানে অপরাধীদের রাজ্যের অতিথির মতো ব্যবহার করা হয়। মায়াবতীর আক্রমণের জবাব দিতে এনকাউন্টারের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
টুইটে জানানো হয়েছে, সংখ্যাই শেষ কথা। জঙ্গলরাজ এখন অতীত। গত দু’বছরে পুলিশ ৫১৭৮টি অভিযান চালিয়েছে। সেখানে খতম হয়েছে ১০৩ জন অপরাধী। জখম হয়েছে আরও ১৮৫৯ জন। ১৭৭৪৫ অপরাধী আত্মসমর্পণ করেছে। মায়াবতীকে কটাক্ষ করে তাঁদের আরও দাবি, অপরাধীরা মোটেই রাজ্যের অতিথি নয়। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ক্ষমতায় আসার পর যোগী আদিত্যনাথ নিজেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, অপরাধ করলে খতম করে দেওয়া হবে। তারপর থেকেই সে রাজ্যে নাকি বেড়েছে পুলিসের এনকাউন্টার।
চলতি বছর জুলাইয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিসের ডিজি ওপি সিং বলেছেন, “শীর্ষমহল থেকে নির্দেশ রয়েছে, কোনও অপরাধীকেই রেয়াত করা হবে না। পুলিশের উপরে কোনও রাজনৈতিক চাপ নেই। অপরাধ অনেকটাই কমেছে রাজ্যে।”
তবে উত্তরপ্রদেশের পুলিসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তাঁদের অভিযোগ, প্রান্তিক মানুষদেরও পুলিশ টার্গেট করছে। পাশাপাশি বসপা নেত্রী মায়াবতীকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জবাব দেওয়া নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। নেটিজেনদের প্রশ্ন, বিরোধী নেত্রী তো নিশানা করছেন যোগী সরকারকে। অথচ তার জবাব দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ কেন রাজনীতিতে জড়াচ্ছে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.