ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে দেশে সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানালেন দেশের শতাধিক প্রাক্তন আমলা। এমন সংকটের সময় দেশের বেশকিছু প্রান্তে মুসলিমদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। করোনা মহামারিতে ধর্মের রঙ চড়ানো হচ্ছে বলেও সরব হয়েছেন তাঁরা। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারকে চিঠি লিখেছেন ১০১ জন প্রাক্তন আমলা। দেশের যে সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীরা ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বজায় রেখে কাজ করছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই আমলারা। তাঁদের কথায়, “ঐক্যবদ্ধভাবেই আমরা মহামারি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পারি।”
চিঠির বয়ান অনুযায়ী, “দিল্লিতে অনুষ্ঠান করে নিন্দনীয় কাজ করেছে তবলিঘি জামাত। কিন্তু ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একশ্রেণির সংবাদমাধ্যম ক্রমাগত মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এই কাজ চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন ও আপত্তিকর।” তাঁদের কথায়, “দেশে করোনা সংকটের সময় যেভাবে মুসলিমদের ‘হেনস্তা’ করা হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক।” প্রাক্তন আমলাদের কথায়, “মহামারির ফলে দেশে ভয় ও অনিশ্চয়তার আবহ তৈরি হয়েছে। এই সময় দেশের নানা স্থানে ঢুকতে মুসলিমদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, মুসলিমদের দূরে রাখতে পারলে তবেই বাকিরা নিরাপদে থাকবে।”
চিঠিতে ১০১ জন প্রাক্তন আমলাই স্বাক্ষর করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সচিব কে এম চন্দ্রশেখর, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এ এস দৌলত এবং জুলিও রেবেইরো, প্রাক্তন মুখ্য তথ্য কমিশনার ওয়াজাহাত হবিবুল্লা, দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জং প্রমুখ। চিঠিতে তাঁরা আরও লিখেছেন, “আমরা দেখছি, দেশের কয়েকটি অঞ্চলে মুসলিমরা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে দিল্লির নিজামুদ্দিন অঞ্চলে তবলিঘি জামাতের অনুষ্ঠানের পরেই এমনটা ঘটছে। মনে করা হচ্ছে, ওই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল দেশের নানা প্রান্তে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে দেওয়া। কিন্তু সেই সময় আরও রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জমায়েত হয়েছে।” চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, “ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা দেশগুলোও মুসলিমদের হেনস্তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাই আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে সংখ্যালঘুরা ভারতে আতঙ্কের মধ্যে না থাকেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.