সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মহামারির আবহে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে টালমাটাল অবস্থা অসমে। গত শনিবার থেকে তুমুল বৃষ্টির জেরে হওয়া হড়পা বানে ৪ জেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রভাবিত হয়েছে। নিখোঁজ বেশ কয়েকজন। পার্শ্ববর্তী রাজ্য মেঘালয়েও হড়পা বানে বিপর্যস্ত বহু মানুষ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার থেকে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে গোটা অসমে, এর ফলে লখিমপুর, শোণিতপুর, দরং ও গোয়ালপাড়া জেলার ৪৬টি গ্রাম প্রভাবিত হয়েছে। বাড়িঘর হারিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ১০ হাজার ৮০১ জন। ইতিমধ্যে, সমস্ত জেলাশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ শিবির-সহ ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার ও পানীয় জল জোগান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়াল। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে। কারণ ত্রাণ বিলি করার সময় বা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর সময় সব ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি, নিজের বাড়িতে বা সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে চলার আরজি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর অন্যথা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে সরকার বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
📌Alert ~ 14 new cases of #COVID19+ confirmed.
5 Hojai; 5 Kamrup; 2 Kamrup Metro; 1 Nagaon; 1 East Karbi Anglong
↗️Total cases 392
↗️Recovered 57
↗️Active cases 328
↗️Deaths 04
↗️Migrated 03Update 10:35 pm / May 24#AssamCovidCount pic.twitter.com/GNBFhy7rsF
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) May 24, 2020
উল্লেখ্য, প্রতিবছরই এই মরশুমে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয় অসমে। কয়েক দশক ধরে চলে আসা এই সমস্যার সেই অর্থে কোনও সমাধান এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার উপর করোনা মহামারির আবহে বন্যার জেরে পরিস্থিতি আর ঘোরাল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। রবিবার পর্যন্ত অসমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯২ জন। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এপর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিতে গিয়েছেন ৫৭ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের মামলা প্রতিদিনই প্রকাশ্যে আসছে। কোভিড-১৯-এর দাপটে বিশেষ করে প্রভাবিত হয়েছে গুয়াহাটি মহানগর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.