সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা যে আর কোনওদিনই ফিরবে না, তা বেশ ভালই জানে বছর দশেকের বংশ৷ বাড়িতে শোকের পরিবেশ৷ কেঁদে আকুল মা৷ ঠাকুমার চোখে ছেলে হারানোর শূন্য দৃষ্টি৷ কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে বংসের চোখে আরও জ্বলজ্বলে হয়েছে প্রতিজ্ঞা৷ পাশে ভাইকে নিয়ে তাই তার ঘোষণা, বাবাকে হারালেও সে সেনাতেই যোগ দিতে চায়৷
উরিতে হামলায় শহিদ হয়েছেন রবিপাল সালোত্রা৷ খুব ভোরের দিকে বাড়িতে ফোন করতেন তিনি৷ শহিদ হওয়ার ঠিক একদিন আগেও ছেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন৷ ছোট্ট বংশ জানাচ্ছে, বাবা তাকে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে বলত সবসময়৷ বাবার স্বপ্ন ছিল, বড় হয়ে সেনাবাহিনীর ডাক্তার হোক সে৷ এখন বাবার স্বপ্নপূরণই লক্ষ্য তার৷
সাম্বার স্বরা গ্রামে নিহত সেনার পাড়াতেও শোকের ছায়া৷ যখনই রবি ছুটিতে আসতেন তখন পাড়ার সকলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন৷ রবি শোনাতেন যুদ্ধের গল্প৷ কিন্তু আর তা কখনওই শোনাবেন না৷ শোকগ্রস্ত প্রতিবেশীরা সান্ত্বনা দিচ্ছেন পরিবারকে৷ কিন্তু শোকের এই পরিবেশে একটু ব্যতিক্রম খুদে বংশ৷ তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, বাবার কী হয়েছে সে কি জানে? হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে তার সগর্ব উত্তর, দেশের জন্য শহিদ হয়েছে বাবা৷ এখন বাবার অধরা স্বপ্ন পূরণ করাই তার কাজ৷ আর তাই মৃত্যু সম্ভাবনা থাকলেও সেনাতেই যোগ দিতে চায় সে৷ বাড়িতে অন্যান্যদেরও সেনাতে যোগ দিতে দেখেছে সে৷ আর তাই বাবার মৃত্যু তাকে মানসিক ভাবে ভেঙে দেয়নি৷ বরং বাবার স্বপ্নপূরণ করতে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তুলেছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.