প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতকে মাওবাদী মুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই লক্ষ্য পুরনের পথে আরও এককদম এগোল দেশ। নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে ছত্তিশগড়ের সুকমায় অন্তত ১০ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত মাওবাদীদের কাছ থেকে একে-৪৭ রাইফেল-সহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার বান্দারপাদার জঙ্গলে মাওবাদীরা ঘাটি গেড়েছে। গোপনসূত্রে এমনই তথ্য হাতে এসেছিল নিরাপত্তাবাহিনীর। সেই মতো শুক্রবার সকালে শুরু হয় অভিযান। গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। পিছু হঠবার জায়গা না পেয়ে বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা জবাবে ১০ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বস্তারের আইজি পি সুন্দররাজ বলেন, এখনও পর্যন্ত ১০ জন মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে। মাওবাদীদের কাছ থেকে একে-৪৭, ইনসাসের রাইফেল-সহ বহু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাওবাদকে দেশ থেকে নির্মুল করতে কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্র। সম্প্রতি এই বিষয়ে বার্তা দিয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, লড়াই এখন শেষ পর্যায়ে। চূড়ান্ত হামলার সময় এসেছে। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে আমরা দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করব।’’ তিনি আরও জানিয়েছিলেন, মাওবাদীদের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য এর মধ্যেই নানা পরিকল্পনা ছকতে শুরু করেছে কেন্দ্র। এ যে নিছক মুখের কথা নয়, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানই তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে। রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ২৫৭ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ৮৬১ জন গ্রেপ্তার ও ৭৮৯ জন আত্মসমর্পণ করেছেন।
ইদানীংকালে মাওবাদী অভিযানে সবচেয়ে বড় সাফল্য মিলেছে গত অক্টোবর মাসে। ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স এবং ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড’-এর অভিযানে ৩৮ মাওবাদী খতম হয়। যদিও অভযানে শেষে ফেরার পথে মাওবাদীদের আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় সেনা জওয়ানের। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১৭ জন পুলিশকর্মী এবং ৫০ জনেরও বেশি নাগরিক মাওবাদীদের হানায় প্রাণ হারিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.