বৃহস্পতিবার বিজাপুরের বিরামগড় থানা এলাকায় মাওবাদীরা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় নিরাপত্তাবাহিনী৷ স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের কর্মীরাও ওই অভিযানে শামিল হন৷ যৌথ বাহিনীর তল্লাশি শুরু হয়৷ যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা৷ পালটা জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনী৷ চলে দু’পক্ষের গুলির লড়াই৷ ওই লড়াইতেই একে একে দশজন মাওবাদী খতম হয়৷ বিজাপুরের পুলিশ সুপার মোহিত গর্গ জানান, খতম হওয়া ওই মাওবাদীদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাদের দেহ ময়নাতদন্তেও পাঠানো হয়েছে৷ তবে এখনও কারও পরিচয় জানা যায়নি৷ এছাড়াও তাদের কাছ থেকে অন্তত ১১টি অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ ওই অস্ত্রশস্ত্রগুলি যথেষ্টই অত্যাধুনিক৷
এর আগে চলতি বছরেও মাওবাদী দমনে মেলে সাফল্য৷ গত ২৯ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী দমন করে সিআরপিএফের কোবরাবাহিনী। পশ্চিম সিংভূমের রোটকাটুলি গ্রামে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় পাঁচ মাওবাদী। তার আগে গত বছর ছত্তিশগড়ে একসঙ্গে আট মাওবাদীকে খতম করেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। এবার একসঙ্গে দশজন মাওবাদী নিকেশ হল বিজাপুরে৷ তবে এবার পালটা হামলার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ভাল করে তল্লাশি করেই এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাইছে কোবরা বাহিনী। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও কর্মীরাও।
২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।
চোখ রাখুন