সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশদের এ দেশে আগমনের বহু আগে থেকেই যুদ্ধে শত্রুপক্ষকে মাত করতে ভারতীয় রাজ-রাজারা নানাবিধ অস্ত্র উদ্ভাবন করেছিলেন৷ তারপর ব্রিটিশদের তাড়াতেই হোক, বা অধুনা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প- ভারতের মাটিতে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে অস্ত্র উদ্ভাবন হয়েছে একের পর এক! আজ তাদের মধ্যে থেকে ১০টি মারণ অস্ত্র বেছে নেওয়া হল এই প্রতিবেদনে-
১. খুকরি: সাহসিকতার জন্য বিশ্ববন্দিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্ট! গোর্খা সেনাদের পোশাকের নিচে লুকানো থাকে এই অস্ত্রটি৷ দেখতে ছোট হলে কী হবে, খুকরির ধারালো ফলা চামড়া কেটে হাড় পর্যন্ত বসে যেতে পারে৷
২. উরুমি: ভাবুন তো একবার! একটি ধারালো তরবারির ফলা দড়ির মতো নমনীয়৷ এক মুহূর্তের ভুল হলে চালকের হাতই কেটে যেতে পারে৷ এক একটি উরুমির ফলা ৫-৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়৷ এই অস্ত্রের জন্ম কেরলে৷ সমর বিশেষজ্ঞরা এমন উরুমিও ব্যবহার করেন যার এক একটি ডগায় ৩২টি ফলা যুক্ত থাকে৷
৩. দণ্ডপট্ট: মারাঠি সেনারা দু’হাতে এই অস্ত্র ধারণ করে নিজেদের কিলিং মেশিন-এ পরিণত করতেন৷ খোদ শিবাজি মহারাজ এই অস্ত্র চালনায় পারদর্শী ছিলেন৷
৪. কাটার: কাটার হল এমন অস্ত্র যা শত্রুর বর্ম ভেদ করে তাকে আঘাত করতে সক্ষম৷
৫. বাঘনখ: এই অস্ত্রের সাহায্যে শিবাজি তার দুশমন আফজল খাঁকে হত্যা করেছিলেন৷ এই অস্ত্রকে আরও ঘাতক করে তুলতে বাঘনখের মাথায় বিষ মাখানো হত৷
৬. তরবারি: মোঘলরা এই অস্ত্র চালনায় বিশেষ পারদর্শী ছিলেন৷ নানা আকৃতি ও মাপের তরবারি বানিয়েছিলেন মোঘল সেনাধিপতিরা৷
৭. কৃপাণ: আজও শিখ সেনারা তাঁদের সঙ্গে কৃপাণ বহন করেন৷ দেখতে ছোট হলে কী হবে, কৃপাণের আঘাতে একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে!
৮. চক্রম: ঘোড়ার পিঠে বসে শত্রুর উদ্দেশ্যে চক্রম ছুঁড়ে তাদের হত্যা করা হত৷ চক্রমের হাত থেকে বাঁচার কোনও উপায় নেই৷
৯. কালী: শুধু ইতিহাসের পাতায় নয়, আধুনিক ভারতেও এমন কিছু মারণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছে, দেখলে দুশমনের ভয়ে কাঁপে৷ যেমন সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অ্যান্টি মিসাইল টেকনোলজি ‘কালী’! পুরো নাম ‘কিলো অ্যাম্পিয়ার লিনিয়ার ইনজেক্টর৷’ মাঝ আকাশে শত্রু মিসাইল ধ্বংস করতে ‘কালী’র জুড়ি মেলা ভার৷
১০. ব্রহ্মস: বিশ্বের দ্রুততম ক্ষেপণাস্ত্রের মালিক ভারত৷ শব্দের চেয়ে তিনগুণ জোরে ছুটে গিয়ে টার্গেটে নিখুঁত হামলা করতে সক্ষম এই ব্রহ্মসকে ভয় পায় চিনও৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.