Advertisement
Advertisement

Breaking News

stock market crash

নিমেষে উধাও ৮৬ হাজার কোটি! শেয়ার বাজারের রক্তক্ষরণে বিরাট ক্ষতি দেশের ৪ ধনকুবেরের

ট্রাম্পের শুল্কবাণে কার্যত ধসে গিয়েছে দেশের শেয়ার বাজার।

10 billion wiped out, India's richest 4 take a hit in stock market crash
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:April 7, 2025 8:00 pm
  • Updated:April 7, 2025 8:00 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রাম্পের শুল্কবাণে কার্যত ধসে গিয়েছে দেশের শেয়ার বাজার। একদিনে ৪ হাজারের বেশি পতন ঘটেছে সেনসেক্সের। বাজারের এই বেহাল দশায় চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত দেশের চার ধনকুবের। তথ্য বলছে, মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানি, সাবিত্রী জিন্দাল ও শিব নাদার, এই চার শিল্পপতি বাজারের পতনে যৌথভাবে খুইয়েছেন ১০ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮৬ হাজার কোটি টাকা।

ট্রাম্পের শুল্কনীতির জেরে সোমবার যে বড়সড় পতন হবে গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে, সেই আশঙ্কা ছিলই। সেই মতো সোমবার বাজার খুলতেই দেখা যায়, প্রায় চার হাজার পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। ৩৯৩৯.৬৮ পয়েন্ট পড়ে ৭১ হাজারের ঘরে নেমে যায় সেনসেক্সের সূচক। প্রায় ৩.৯ শতাংশ পতন হয়েছে সেনসেক্সে। হাজার পয়েন্টের বেশি পড়ে যায় নিফটিও। সবমিলিয়ে ভারতের বাজারে বিনিয়োগকারীদের ১৯ লক্ষ কোটি টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে একদিনের মধ্যেই। এই বিরাট ক্ষতির ধাক্কা থেকে রেহাই পায়নি ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নেয়ার তালিকায় থাকা ভারতের শীর্ষ চার শিল্পপতি।

Advertisement

রিপোর্ট অনুযায়ী, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এবং ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ কমেছে সবচেয়ে বেশি। ৩.৬ বিলিয়ন ডলার কমে আম্বানির মোত সম্পত্তির পরিমাণ কমে হয়েছে ৮৭.৭ বিলিয়ন ডলার। ৩ বিলিয়ন ডলার কমেছে আদানি গ্রুপের প্রধান গৌতম আদানির সম্পত্তি। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭.৩ বিলিয়ন ডলার। ওপি জিন্দাল গোষ্ঠীর প্রধান ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে ২.২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তাঁদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩.৯ বিলিয়ন ডলার। এই মুহূর্তে বিশ্বের ধনী তালিকায় ৪৫ নম্বরে নেমে গিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি এইচসিএল টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা শিব নাদারও বিরাট ধাক্কা খেয়েছেন। ১.৫ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি খুইয়ে বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০.৯ বিলিয়ন ডলার।

তবে ক্ষতি শুধু শিল্পপতিদের নয়, সাধারণ মানুষেরও ব্যাপক আর্থিক রক্তক্ষরণ ঘটেছে। ট্রেন্ট, টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, জেএসডব্লিউ স্টিল, শ্রীরাম ফিনান্স- একের পর এক সংস্থার শেয়ারের দাম হুহু করে পড়ছে। ৪ থেকে ৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে গাড়ি-আইটি সংস্থাগুলির শেয়ার। ৭ শতাংশ পড়েছে আদানি গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার শেয়ার। ছোট এবং মাঝারি সংস্থার শেয়ার যথাক্রমে ৬.২ এবং ৪.৬ শতাংশ পড়েছে। গুরুতর এই পরিস্থিতির জন্য সরাসরি ট্রাম্পের নীতিকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে গোটা বিশ্বের বাজার চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এখনও কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে অপেক্ষা করা ও নজর রাখা। তবে এই শুল্ক নীতিতে ভারতের খুব বেশি ক্ষতি নাও হতে পারে। কারণ, ভারতের জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ আসে মার্কিন রপ্তানি থেকে। শুধু তাই নয়, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা চলছে যা ভারতীয় পণ্যের শুল্ক কমাতে সাহায্য করতে পারে। তেমনটা হলে ফের সুদিন ফিরতে পারে বাজারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub