সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে ‘ভক্ষক’ শিক্ষকদের ধর্ষণের বিষয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ বুলধানা জেলার হিভারখেড়ার একটি আবাসিক স্কুলে ১২ জন নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ঝাড়ুদার ইতুসিং পাওয়ারের বিষয়ে ছাত্রীর পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে৷ অভিযোগে বলা হয়েছে, এক ছাত্রীকে গত ছ’মাস ধরে খুনের হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে এসেছে ইতুসিং৷ প্রথমে ছাত্রী যৌন হেনস্তার প্রতিবাদ করলে ইতুসিং তাকে খুন করার হুমকি দেয়৷ প্রাণের ভয়ে সে প্রতিবাদ জানায়নি আর৷ আর সেই সুযোগেই দিনের পর দিন ছাত্রীকে ধর্ষণ করে গিয়েছে সে৷
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে নিনাধি আশ্রম আবাসিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি-সহ সাত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী, ঝাড়ুদার ও রাঁধুনিকে৷ জানা গিয়েছে, ক্রমাগত ধর্ষণের ফলে ১২ জন ছাত্রীর মধ্যে তিন জন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে৷ দিওয়ালির ছুটিতে ছাত্রীরা নিজেদের গ্রামের বাড়িতে ফিরলে, তাদের তিন জনের শারীরিক অসুস্থতা এবং পেট ব্যথার জন্য তাঁদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা৷ আর ডাক্তারি পরীক্ষার পরই জানতে পারা যায় যে ওই তিন ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা৷ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ পুলিশের প্রথমিক অনুমান আবাসনের আরও ছাত্রীরা ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকতে পারেন৷
ঘটনার কথা মনে করতে গিয়ে শিউরে ওঠেন গ্রামের ডেপুটি সরপঞ্চ বুলেসতেরনি সতী ভোঁসলে৷ তিনি বলেন, “দীপাবলির সময় গ্রামের সব মেয়েরা ছুটোছুটি করে খেলা করছিল৷ কিন্তু তিন জন চুপ করে এক কোণে বসে ছিল৷ আমরা ওদের জিজ্ঞাসা করি, কেন খেলছে না? তখন ওরা জানায়, ওদের পেটে খুব ব্যথা হচ্ছে৷ তলপেটে ভারী কিছু রয়েছে৷ আমরা ওদের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই৷ ডাক্তার পরীক্ষা করে জানান, তিনটি মেয়েই অন্তঃসত্ত্বা৷ এরপর ওই বাচ্চা মেয়েগুলোকে জিজ্ঞাসা করে শিক্ষকদের এই অত্যাচারের কথা জানতে পারি৷”
সমাজের চোখে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা কী করে এমন বিকারগ্রস্ত মানসিকতার পরিচয় দিতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.