সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫ বছর রাজ্যে অনাহারে মৃত্যু ছিল না! হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) ক্ষমতায় আসার পরই সেই লজ্জার ছবি ফিরল ঝাড়খণ্ডে। চারদিন অনাহারে থাকার পর মৃত্যু হল বোকারোর এক যুবকের। স্বাধীনতার ৭৩ বছর পর দেশে অনাহারে মৃত্যুর এই ছবি ব্যথিত করেছে সব মহলকেই। সেই সঙ্গে এই ইস্যুতে রাজনৈতিক তরজাও চরম রূপ নিয়েছে ঝাড়খণ্ডে।
শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে ভুখলাল পাসি নামের ৪২ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ভুখলালের স্ত্রী বলছেন, চারদিন অনাহারে ছিলেন তিনি। পরিবারের ৭ সদস্যের কারওর পেটেই চারদিন খাবার জোটেনি। বাকিরা সেই অনাহারের জ্বালা সহ্য করতে পারলেও ভুখলাল পারেননি। শুক্রবার মৃত্যু হয় তাঁর। ভুখলালের স্ত্রী রেখা দেবীর কথায়, “ও খিদের জ্বালায় মারা গিয়েছে। পরিবারের সাত সদস্যের মধ্যে ১৪ বছরের ছেলেও আছে। সে একটা ধাবায় কাজ করে। আরও একটি ছেলে এবং তিনটি মেয়ে আছে। বাড়ির আর কারও কোনও রোজগার নেই। আমাদের কারও মুখে চারদিন অন্ন ওঠেনি।”
অদ্ভুদভাবে ভুখলালের ‘ভুখমারি’র খবর প্রকাশ্যে আসার আগেই রাজ্য বিধানসভায় অনাহারে মৃত্যুর পরিসংখ্যান দিয়েছেন। খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রামেশ্বর ওরাম দাবি করেন, তাঁদের রাজ্যে গত পাঁচ বছরে অনাহারে মৃত্যুর কোনও নজির নেই। অর্থাৎ, রঘুবর দাসের নেতৃত্বে বিজেপি যে পাঁচ বছর ঝাড়খণ্ড শাসন করেছে, তাতে অনাহারে কেউ মরেনি। হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট ক্ষমতায় আসতেই কি তবে নতুন করে ‘ভুখমারি’ শুরু হল ঝাড়খণ্ডে? প্রশ্ন তুলছে বিজেপি।
অনাহারে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি নতুন কিছু নয়। আদিবাসী অধ্যূষিত ঝাড়খণ্ডে আগেও বহু অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত জেএমএমও দাবি করত, বিজেপির আমলে রাজ্যে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। তখন, বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করত। আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপি সরকার অনাহারে মৃত্যুর কোনও রেকর্ডই রাখেনি। পুরোটাই চালিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে। সেই রীতি মেনে জেএমএম সরকারও অনাহারে মৃত্যুর এই খবর অস্বীকার করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.