সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাসাধিককাল পরেও মণিপুরে হিংসা (Manipur Violence) অব্যাহত। সোমবার মধ্যরাতে রাজ্যের সেরু এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে বাংলার বিএসএফ (BSF) জওয়ান রঞ্জিত যাদবের। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন অসম রাইফেলসের দুই সদস্য। অন্যদিকে সুগনুর কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে জঙ্গিরা। শুক্রবার রাত থেকে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে সুগনুতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কুকি-মেতেই সংঘর্ষে অশান্ত মণিপুর। ‘মেতেই’ সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজাতির তফসিলি জাতির স্বীকৃতির দাবি নিয়ে আন্দোলন ওই ছোট্ট রাজ্যে নাগা-কুকি জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে পালটা প্রত্যাঘাতের জন্ম দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি। ঘরছাড়া কয়েক হাজার মানুষ। ক’দিন আগেই শান্তি ফেরাতে মণিপুর সফর করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। যদিও তারপরেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: যশবন্তপুর-হাওড়া সুপারফাস্টে অন্ধ্রের ডিম ফেটে চৌচির দুর্ঘটনায়, গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত]
পরিস্থিতির উপর নজর রেখে নতুন করে শনিবার অর্থাৎ ১০ জুন পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যেই হিংসা খবর এসেছে ককচিং জেলার সুগনু থেকে। সেখানে সংঘর্ষের বলি হয়েছেন ৮ জন। পাশাপাশি জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে বাংলার বিএসএফ জওয়ান রঞ্জিত যাদবের। ভাটপাড়ার বাসিন্দা ওই জওয়ানের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আহত হয়েছেন অসম রাইফেলসের দুই সেনা। এছাড়াও সুগনুর কংগ্রেস বিধায়ক কাংগুজাম রণজিতের বাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছে জঙ্গিরা। সব মিলিয়ে রাজ্য প্রশাসন এবং কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের জন্য গভীর অস্বস্তির হয়ে উঠছে মণিপুরের হিংসা পরিস্থিতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.