সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। ছেলে চাইলে, আগামী ২৪ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জনসভায় থাকবেন বাবা। না চাইলে থাকবেন না। এমনই জানিয়ে দিয়েছেন কাঁথির বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikary)।শনিবার দুপুরে কাঁথির ‘শান্তিকুঞ্জে’ গিয়ে শিশিরবাবুকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। আমন্ত্রণ পেয়ে কী সিদ্ধান্ত নিলেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্টই জানালেন, ”ছেলে শুভেন্দু বললে মোদির সভায় থাকব।”
রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক কাঁথির অধিকারী পরিবারের। শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী, ভাই দিব্যেন্দু ও সৌমেন্দু – সকলেই রাজ্যের শাসকদলের সদস্য। একমাত্র শুভেন্দুই তৃণমূলের সঙ্গে প্রায় দু’দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে যোগ দেন বিজেপি শিবিরে। এবার মেজো ছেলের হাত ধরে কি বাবাও দলবদলের পথে? এই সম্ভাবনা কিন্তু উসকে দিচ্ছে একাধিক ফ্যাক্টর।
শুভেন্দুর দলবদলের পর থেকে বয়সের কারণ দেখিয়ে অশীতিপর শিশিরকে দলের একাধিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। এরপর নন্দীগ্রামের মতো হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikary) প্রার্থী করে বিজেপি। তারপরই শিশিরবাবু ছেলের হয়ে প্রচারের কথা জানিয়েছিলেন আকারে-ইঙ্গিতে। এমনকী তাঁর মুখে একথাও শোনা যায় – ”নন্দীগ্রামে মমতা নয়, শুভেন্দুই জিতবে। প্রয়োজনে আমি প্রচার করব।” কখনও আবার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, ”ও বিপদে আছে। বাবা হয়ে ওর পাশে থাকতে চাই।”
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে প্রচারে আসছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২৪ তারিখ তিনি অধিকারী গড় অর্থাৎ কাঁথিতে সভা করবেন। সেই সভায় শুভেন্দু ছাড়াও অধিকারী পরিবারের সদস্যরা থাকতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হচ্ছিল। তা আরও উসকে শনিবার মোদির সভায় থাকার জন্য শিশির অধিকারীকে বাড়ি গিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ওইদিন লকেট সেখানে মধ্যাহ্নভোজনও সারেন। বর্ষীয়ান শিশিরবাবু নিজে অতিথি আপ্যায়ণ করেছিলেন। সূত্রের খবর, লকেটের কাছে আক্ষেপ প্রকাশ করে শিশিরবাবু জানিয়েছিলেন যে ছেলের কথাতেই তৃণমূলের সঙ্গে এতদিন রয়েছেন। তবে সম্প্রতি তৃণমূল তাঁকে সম্মান দিচ্ছে না। এরপর গুঞ্জন আরও জোরদার হয়। তবে কি ছেলের পথে হেঁটে বাবাও দলবদল করবেন? এ নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও ছেলের পাশে থাকার বার্তা স্পষ্ট করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, শুভেন্দু বিপদে আছে, বাবা হয়ে তিনি ছেলের পাশে থাকতে চান। আর এবার মোদির সভায় যোগদানের আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে যাবেন কি না, এই সিদ্ধান্তও তিনি ছেড়ে দিলেন ছেলে শুভেন্দু হাতেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.