সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে বরফ গলল৷ মনমালিন্য ঘুচিয়ে দাদা তেজপ্রতাপের সঙ্গে দূরত্ব মেটালেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা লালুপ্রসাদের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব৷ স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, তাঁদের মধ্যে আগেও কোনও দ্বন্দ্ব ছিল না৷ এখনও নেই৷
[ আরও পড়ুন: মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞাকে প্রার্থী করল বিজেপি ]
মঙ্গলবার তেজপ্রতাপের জন্মদিন তাঁর বাড়িতে যান তেজস্বী৷ কেক কেটে পালন করেন ‘কৃষ্ণ দাদা’র জন্মদিন৷ জানান, ‘‘আজ ওঁর জন্মদিন৷ এবং আমি ওঁকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি৷ কেন্দ্রের সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে এবং লালুপ্রসাদের উদ্দেশ্যকে সত্যি করতে, আমাদের একসঙ্গে হতে হবে৷ একসঙ্গে লড়াই করতেই হবে৷’’ ভাইকে সঙ্গে নিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন তেজপ্রতাপও৷ বলেন, ‘‘কৃষ্ণ-অর্জুন এক হয়ে গিয়েছে৷’’ লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয় দু’ভাইয়ের মধ্যে৷ তেজপ্রতাপের আপত্তিকে গুরুত্ব না দিয়েই তাঁর শ্বশুর চন্দ্রিকা রাইকে এবারের লোকসভার প্রার্থী ঘোষণা করেন লালুর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী তথা তাঁর ছোট ছেলে তেজস্বী৷ ভাইয়ের এই আচরণে ক্ষুব্ধ হন তেজপ্রতাপ যাদব৷ আরজেডি ছেড়ে নতুন দল গঠন করেন তিনি। জানান, তাঁর নয়া দল ‘লালু-রাবড়ি মোর্চা’, আরজেডি’রই একটা অংশ।
[ আরও পড়ুন: কেন দুই কেন্দ্রে প্রার্থী, খোলসা করলেন রাহুল ]
এখানেই শেষ নয়, সারন লোকসভা কেন্দ্র থেকে নিজেই প্রার্থী হবেন বলেও ঘোষণা করেন তেজপ্রতাপ যাদব। বলেন, ‘‘সারন আসনটি লালুজির পৈতৃক আসন। আমি চাই ওই আসনে আমার মা রাবড়ি দেবী লড়ুন। যদি তিনি ভোটে প্রার্থী হতে না চান, তবে আমি ওই আসনে লড়ব এবং জিতব। কারণ, সেখানকার মানুষের আশীর্বাদ আছে আমার সঙ্গে।” এরপর বড় ছেলেকে ঘরে ফেরার ডাক দেন মা রাবড়ি দেবী৷ কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি৷ অবশেষে দাদার রাগ ভাঙাতে ময়দানে নামেন তেজস্বী নিজে৷ এবং সেকাজে সফলও হলেন তিনি৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে এটা আরজেডি-র কাছে একটা বড় স্বস্তির বিষয়৷ কারণ,তা না হলে, দু’ভাইয়ের দ্বন্দ্বের ফসল ঘরে তুলত বিরোধীরা৷ যাতে আখেরে লোকশান হত যাদবকুলেরই৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.