চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: চৌকিদারের সভা থেকে গিয়ে চুরি গেল মোবাইল ফোন। বিজেপি কর্মী, সাধারণ দর্শক থেকে মিডিয়া কর্মী মিলে মোট চল্লিশটি মোবাইল চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ। হীরাপুর থানায় এই নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে বুধবার।
মঙ্গলবার আসানসোলের পোলো ময়দানে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা। লাখো মানুষের সমাগম হয়েছিল। সেই সময় ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি হয় মোদির মঞ্চে ওঠার পর থেকে। এই সুযোগে কিছু মোবাইল চোরের দল ঢুকেছিল দর্শকদের মধ্যে। সভা শেষ হওয়ার পর অনেকেই লক্ষ্য করেন, তাঁদের পকেটে থাকা অ্যান্ড্রয়েড সেট বা মোবাইল ফোনগুলি খোয়া গিয়েছে। অসীম মুখোপাধ্যায়, চিন্ময় মজুমদার, রাকেশ সিনহারা বলেন, তাঁদের মোবাইল ফোন খোয়া যাওয়ার পর হীরাপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। হীরাপুর থানা সূত্রে খবর চল্লিশটি মোবাইল ফোন খোয়া যাওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনা জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। সূত্রের খবর কিছু মোবাইল উদ্ধারও হয়েছে। হীরাপুর থানার পুলিশ বিষয়টি নিয়ে গোপনীয়তা রেখেছে। জানা গিয়েছে, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল পাণ্ডাকে ধরা হবে। এডিসিপি ওয়েস্ট অনমিত্র দাস বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। খুব শীঘ্র মোবাইল চোরের গ্যাং ধরা পড়বে। উদ্ধার হবে খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনগুলি।
[আরও পড়ুন: ফের চলন্ত বাসে কুকীর্তি, মহিলার ছবি তুলে হাতেনাতে ধরা পড়ল বৃদ্ধ]
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, কুলটির চিনাকুড়ির একটি মোবাইল চুরির গ্যাং ঢুকেছিল মোদির সভায়। এরা যেকোনও ভিড় জায়গাতেই ঢুকে পড়ে। বহুলোকের সমাগম ও ঠেলাঠেলির সুযোগ নিয়ে মোবাইল ফোনগুলি চুরি করেছে। আসানসোলের মধ্যে একমাত্র চিনাকুড়িতেই রয়েছে মোবাইল চুরির গ্যাং। এর আগে অভিযান চালিয়ে চিনাকুড়ি থেকে বহু অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ফোন, অ্যাপল ফোন উদ্ধার হয়েছে। চিনাকুড়ি বাজার থেকে বলরাম নুনিয়া ও রাজমন চৌহান নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখনই জানতে পারা যায়, এরকম একটি গ্যাং কাজ করে পুরো আসানসোল জুড়ে। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলের কটাক্ষ, চৌকিদারের সভাস্থলে গিয়ে পকেটমার হয়ে যায় তিনি আবার কী করে দেশের সম্পদ রক্ষা করবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.