সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামান্য গা-হাত পা ব্যথা। মাথা যন্ত্রণা। ম্যাচম্যাচে ভাব। কিংবা সর্দি। জ্বর হল কি না! ভরসা প্যারাসিটামল। প্রায় প্রতিটা ঘরে থাকা এই ওষুধ খাওয়ার আগে ভাবনাচিন্তাও করেন না অনেকেই। কার্যত মুড়িমুড়কির মতো খেয়ে ফেলেন কেউ কেউ। আপনিও কি রয়েছেন সেই তালিকায়? ছোটখাটো কোনও শারীরিক সমস্যা দেখে দিলেই প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলেন? তবে ব্রিটেনের নটিংহাম ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক গবেষণায় পাওয়া তথ্য আপনার রাতের ঘুম কাড়তে পারে।
গবেষকরা মনে করেন, ৫০-৬০ বছর বয়সিদের মধ্যে অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তাই মূলত তাঁদের উপর সমীক্ষা করেন গবেষকরা। তাতে দেখা গিয়েছে, যাঁরা বেশি পরিমাণে প্যারাসিটামল খান পরবর্তীকালে তাঁদের পেপটিক আলসার হয়। এছাড়া হার্টের অসুখ, হাইপারটেনশনের মতো সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। গবেষকদের দাবি, বেশি প্যারাসিটামল শরীরের পক্ষে অন্তত ক্ষতিকর।
লিভার, কিডনিতেও নাকি ব্যাপক কুপ্রভাব ফেলতে পারে ওই ওষুধটি। অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, প্রস্রাবের রং বদল, তলপেটে তীব্র যন্ত্রণাও হতে পারে। কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো সমস্যার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায় কয়েকগুণ। এছাড়া অ্যালার্জির সমস্যাও তৈরি হতে পারে দাবি গবেষকদের। তাই প্রয়োজন ছাড়া বেশি পরিমাণ প্যারাসিটামল খাওয়া থেকে বিরত থাকতেই বলছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, যদি সঠিক মাত্রায় খাওয়া হয় তবে প্যারাসিটামলের মতো নিরাপদ ওষুধ আর নেই। শরীরের ওজন অনুযায়ী, দিনে ১০-১৫ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। তবে তার বেশি প্যারাসিটামল প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই যেকোনও ছোটখাটো সমস্যায় সঠিক ডোজ না বুঝে প্যারাসিটামল খাওয়া আজই বন্ধ করুন। নইলে হতে পারে সর্বনাশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.