ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আম পাকে বৈশাখে কুল পাকে ফাগুনে’। গ্রীষ্মকাল এলেই তার পিছু পিছু আসে পাকা আম। কিন্তু দ্রুত ও অধিক সংখ্যক পাকা আম বাজারজাত করতে ব্যবসায়ীরা যে পদ্ধতি ব্যবহার করেন এবার তারই বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করল কেন্দ্র।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অধীনস্থ FSSAI তথা ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া’ জানিয়ে দিল, ক্যালশিয়াম কার্বাইড গ্যাসের সাহায্যে আম পাকানোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ২০১১ সালেই নিষিদ্ধ হয়েছিল আম (Mango) পাকাতে এই গ্যাসের ব্যবহার। ওই দপ্তরের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে আম ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলকেই সতর্ক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের খাদ্য নিয়ামক দপ্তরগুলোকে বলা হয়েছে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে। পাশাপাশি এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত থাকলেই কড়া পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়েছে।
ঠিক কী এই ক্যালশিয়াম কার্বাইড? কেনই বা তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে? আসলে এর থেকে অ্যাসিটিলিন গ্যাস নির্গত হয়। যার মধ্যে আর্সেনিক ও ফসফরাস পাওয়া যায়! ফলে আমের সঙ্গে এগুলিও পেটে চলে যায়। যা থেকে ঝিমুনি, অস্বস্তি, দৌর্বল্য, গিলতে সমস্যা, বমি থেকে ত্বকে আলসার পর্যন্ত নানা গুরুতর শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এর বিকল্প কী? এফএসএসএআই জানাচ্ছে, আম বা অন্য ফল পাকাতে বাইরে থেকে ইথিলিন প্রয়োগ করা যেতে পারে। সেটা অনেক ‘নিরাপদ’। এটা ফলের ভিতরে প্রাকৃতিক ভাবে হরমোন তৈরি করতে পারে। সব মিলিয়ে এর ব্যবহারে বিপদের আশঙ্কা অনেকটাই কম। তবে তা পরিমাণমতো ব্যবহারের নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, বাজারে ছড়িয়ে থাকা আম ক্যালশিয়াম কার্বাইডে পাকানো কিনা তা বোঝার উপায় নেই। তাই অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে সাবধান। আর সেই কারণে বিশেষজ্ঞদের নিদান, পাকা আম কিনে এনে ভালো করে ধুয়ে তবেই যেন তা খাওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.