সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেতেই উৎসবে মেতেছে আর্জেন্টিনা (Argentina)। বুয়েনস আইরেস থেকে বালিগঞ্জ, বরিশাল। তামাম দুনিয়ার সমর্থকদের পাশাপাশি উত্তাল সেলিব্রেশন হয়েছে মেসিদের ড্রেসিংরুমেও। জলের বোতলের ছিপি খুলে উড়েছে কাল্পনিক শ্যাম্পেন। তবে এর মাঝে ব্রাজিল, ইংল্যান্ডকে গালমন্দ করে বিতর্কে জড়ালেন ওটামেন্ডি, মার্টিনেজ, আলভারেজরা।
বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) থেকে বিদায় নেওয়ার পর ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ফের্নান্দো সারনে দেশবাসীর কাছে পড়শি আর্জেন্টিনাকে সমর্থনের আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার গ্যালারিতে বসে আলভারেজের গোলের প্রশংসায় হাততালি দিতে দেখা গিয়েছে রোনাল্ডিনহোকে। সব মিলিয়ে চিরশত্রুতাকে সরিয়ে রেখে লাতিন ঐক্যে ভর করে ‘মিলে সুর মেরা তুমহারার’ টিউনে ভালই চলছিল দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান। কিন্তু ফাইনালে উঠে লম্বা কিকে সেই সৌহার্দ্য স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠিয়ে দিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা।
সেমির হার্ডল টপকানোর পর স্বাভাবিক নিয়মেই ড্রেসিংরুমে হল সেলিব্রেশন। যে মুহূর্ত বন্দি হল ওটামেন্ডির ক্যামেরায়। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ভিডিও শেয়ার করতেই শুরু হল বিতর্ক। তেড়ে এল ব্রিটিশ মিডিয়া। যাবতীয় বিতর্কের মূলে ছিল মেসির সতীর্থদের গাওয়া গান। যা তাঁরা কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে আর্জেন্টিনায় সুপারহিট। জাতীয় ফুটবল দলের খেলার সময় গ্যালারিতে যা মন্ত্রের মতো আওড়াতে থাকেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। যেখানে বলা হচ্ছে, ‘কোথায় গেলে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল? রিওতে গিয়ে মেসি ট্রফি নিয়েছে। আমরা আর্জেন্টাইন, আমরা বিশ্বাস করি এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হব। আমরা আর্জেন্টাইন। নির্বোধ ইংল্যান্ড। আমরা ফকল্যান্ড ভুলিনি।’
তাদের দেশকে গালমন্দ করায় আর্জেন্টিনাকে ব্যাপক আক্রমণ করল ইংরেজ সংবাদমাধ্যম। তাদের প্রধান শত্রু হয়ে উঠলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা আলভারেজ (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি), মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), মার্টিনেজ (ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড), রোমেরো (টটেনহ্যাম হটস্পার), ম্যাক অ্যালিস্টার (ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন)-রা। ইংল্যান্ডে খেলে রোজগার করার পরও কীভাবে তাঁরা ইংল্যান্ডকে আক্রমণ করতে পারেন, তোলা হল সেই প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, ফকল্যান্ড দ্বীপের অধিকারকে কেন্দ্র করে ইংল্যান্ড ও আর্জেন্টিনার মধ্যে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন লড়াই। আবার ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমে রোনাল্ডিনহো, সারনের উদাহরণ দেখিয়ে বলা হল, আর্জেন্টিনার শেখা উচিত শিষ্টাচার কাকে বলে। খোঁচা দিয়ে বলা হল, এই কারণেই কখনও ‘শত্রু’-র পাশে থাকতে নেই। এই প্রসঙ্গে ব্যারেটোর বক্তব্য, “মাঠের বাইরের এই শিষ্টাচার, সৌজন্য খেলার সময় মাথায় থাকে না। ৯০ মিনিটের বিষয়টা আলাদা। কাজেই ফুটবলারদের দোষ দেওয়া ঠিক নয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.