সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবাবের শহরে ডার্বি। উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে চিফ মিনিস্টার কাপে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। দুই প্রধানের ‘ছোটো’রা নামলেও উত্তেজনার কমতি ছিল না। দুই অর্ধে দুটি গোল হল। একটি রেড কার্ডও হল। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফলাফল ছিল ১-১। খেলা অমীমাংসিত থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানেই ৩-২ ব্যবধানে জয় পেল মোহনবাগান। কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের কাছে পরাস্ত হয়েছিল মোহনবাগান। ডুরান্ড ডার্বি অনুষ্ঠিতই হয়নি। সেই জায়গায় ভিন রাজ্যে এসে মোহনবাগান কিন্তু কলকাতা লিগে হারের প্রতিশোধ নিল। মাঠের অবস্থা ভালো ছিল না। এরকম মাঠে ভালো ফুটবল তুলে ধরা অসম্ভব। দুদলের ফুটবলারদের খেলা দেখেই বোঝা গিয়েছিল খারাপ মাঠ তাঁদের ভালো ফুটবল তুলে ধরার পক্ষে অন্তরায় তৈরি করছে।
১৭ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিল সুহেল ভাট। মোহনবাগানের ফ্রি কিক বুঝতেই পারল না ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স। সবাই এক লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে। সেই সুযোগে সুহেল খুব সুন্দর গোল করেন। সেই গোল শোধ করতে ইস্টবেঙ্গলের লেগে গেল ৭০ মিনিট। তার পর সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে গেলেও সুযোগ নিতে পারেনি সবুজ-মেরুন। ‘নবাবি ডার্বি’ নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় ১-১ গোলে। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মহম্মদ আশিক সমতা ফেরান। খেলার বয়স তখন ৭১ মিনিট। ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে নায়ক হয়ে উঠলেন সবুজ-মেরুনের গোলরক্ষক অভিষেক। ইস্টবেঙ্গলের আদিত্য পাত্র দুটি সেভ করলেও শেষ হাসি হাসল মোহনবাগানই।
ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতেছিল মোহনবাগান। সবুজ-মেরুন বারের নীচে বিশাল কাইথ শাখাপ্রশাখা মেলে দিয়েছিলেন ডুরান্ড কাপে। ফাইনালে বিশাল কাইথ অবশ্য ম্যাজিক দেখাতে পারেননি। লখনউয়ে মোহনবাগানের গোলকিপার একটি মাত্র সেভ করলেও লাল-হলুদের তন্ময় এবং বিষ্ণু বল বাইরে মারেন। পঞ্চম শটে গোল করে মোহনবাগানকে জেতান টাইসন সিং। মোহনবাগান ম্যাচ জিতে নেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.