খালিদ জামিল। ছবি: জামশেদপুর এফসি
স্টাফ রিপোর্টার: খালিদ মানেই বিতর্ক। বিশেষ করে তার একাধিক তুকতাক বা সংস্কার সবসময় চর্চার বিষয় হয়ে থাকে। রবিবার সকালে কলকাতায় অনুশীলন করার পর দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সোজা চলে যাচ্ছিলেন যুবভারতীর মূল মাঠে। মোহনবাগানের কর্মীরা সেই সময় তাঁকে বাধা দেন। যুবভারতীতে ঢুকতে না পেরে ফিরে যান হোটেলে। তবে যাই করুন না কেন এই মুহূর্তে ভারতীয় কোচ হিসাবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইতে থেকে রীতিমতো সমীহ করার মতো নাম খালিদ জামিল।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগ জিতে সোমবার খাতায় কলমে অ্যাডভান্টেজে রয়েছে খালিদের জামশেদপুর এফসি। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে নামার আগে খালিদ আবার যা যা ঘটালেন, সেই সব ঘটনা নিয়ে চর্চা হতেই পারে। দলের পরিচিত মুখদের বাদ দিয়ে প্রথাগত সাংবাদিক সম্মেলনে আনলেন শ্রীকুট্টান ভিএস নামের এমন এক ফুটবলারকে, যিনি সারা মরশুমে খেলেছেন মাত্র আঠারো মিনিট। সোমবার তিনি প্রথম একাদশে খেলবেন কি না সেটাও নিশ্চিত নয়। এই ম্যাচে খালিদ পাচ্ছেন না স্টিফেন এজে, আশুতোষ মেহতা আর মোবাশির রহমানের মতো নির্ভরযোগ্য ফুটবলারদের। এই তিন ফুটবলারকে না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওরা দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার, ওদের মিস করব ঠিকই। তবে চোট-আঘাত আর কার্ড খেলারই একটা অঙ্গ। আমি দলের সবার উপরই আস্থা রাখছি।”
শেষ ম্যাচেই দেখা গিয়েছে, জাভি হার্নান্ডেজের গোলের পর খালিদ উল্লাসে ফেটে পড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন। যা স্বাভাবিকভাবে তাঁকে দেখা যায় না। সেই উল্লাস প্রসঙ্গে বললেন, “আমি সত্যি তেমন কোনও পরিকল্পনা করিনি। পরিস্থিতি এমন ছিল যে আবেগ প্রকাশ করে ফেলেছি। এমনিতে আমার নজর সবসময় ম্যাচের পরের মুহূর্তের দিকে থাকে।” প্রথম ভারতীয় কোচ হিসাবে আইএসএল ফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে রয়েছেন খালিদ। এই প্রসঙ্গে বলেন, “এর জন্য গর্বিত ঠিকই। তবে শুধুমাত্র এটা আমার জন্য হয়নি। সবাই নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে বলেই সম্ভব হয়েছে। ভারতীয় কোচদের বলব নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে। আমরা জানি সামনে মোহনবাগানের মত ভালো দলের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ঘরের মাঠে ওরা শক্তিশালী হয়েই নামবে। তবে সেই দলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত আমরাও।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.