ছবি: ইস্টবেঙ্গল সোশাল মিডিয়া।
ইস্টবেঙ্গল: ২ (বিষ্ণু, জিকসন)
চেন্নাইয়িন: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ‘লাস্ট বয়ে’র তকমা মুছল ইস্টবেঙ্গল। চেন্নাইয়িনের ঘরের মাঠে গিয়ে তাদের বধ করল অস্কার ব্রুজোর দল। কাজটা কঠিন হলেও শেষ পর্যন্ত পিভি বিষ্ণু ও জিকসনের গোলে জয় পেল লাল-হলুদ বাহিনী। জোড়া গোলে জোড়া লাফ দিয়ে লিগ টেবিলে ১৩তম স্থান থেকে ১১তে উঠে এল তারা। ৯ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট দাঁড়াল ৭।
কাজটা অবশ্য একেবারেই সহজ ছিল না। প্রথম থেকেই লাল-হলুদ ডিফেন্সের উপর চাপ বাড়ায় চেন্নাই। একের পর এক আক্রমণে গোলের মুখ খোলার চেষ্টা করতে থাকে তারা। মরিয়া ডিফেন্স করতে থাকে হেক্টর-হীন ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগ। কখনও পরিত্রাতা হয়ে ওঠে প্রভসুখন গিলের হাত। তার মধ্যেই গোলের সহজ সুযোগ মিস করে লাল-হলুদের প্রাক্তনী ড্যানিয়েল চিমা চুকু। অন্যদিকে দিয়ামান্তোকোসকে বন্দি করে রেখেছিলেন চেন্নাইয়ের ডিফেন্ডার এডওয়ার্ডস।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আচমকাই জেগে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। কিছুটা খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়েই প্রথম গোলটি তুলে নেয় তারা। চেন্নাই ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন সল ক্রেসপো। সুযোগসন্ধানীর মতো গোলের কাছে চলে আসেন পিভি বিষ্ণু। ক্রেসপো পাস থেকে জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। তার পর খেলার রাশ হাতে তুলে নেয় তারা। ৮৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল এল জিকসনের দূরপাল্লার শট থেকে। দর্শনীয় গোলে ইস্টবেঙ্গলের জয়ও নিশ্চিত করে দেন তিনি।
তবে চেন্নাই থেকে তিন পয়েন্টের সঙ্গে চিন্তা নিয়েও ফিরবেন অস্কার। যার মধ্যে সবার আগে আসবে সল ক্রেসপোর চোট। এদিন ম্যাচের রং বদলানোর পর চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। চোট কতটা গুরুতর এখনই বোঝার উপায় নেই। মাঠের বাইরে গিয়েও রেফারির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখেন। যে কারণে তাঁকে এমনিতেও পরের ওড়িষা ম্যাচে পাওয়া যাবে না। তার সঙ্গে রইল ডিফেন্স নিয়ে উদ্বেগ। হেক্টর না থাকায় ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগে নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ ছিলেন না। ফলে পর পর দুই ম্যাচ জিতেও খুব একটা নিশ্চিন্ত হতে পারবেন না অস্কার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.