স্টাফ রিপোর্টার: শেষ তিন-চারদিনে ফরাসি শিবিরে যাবতীয় আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিল একটা বিষয়েই। কিলিয়ান এমবাপে কি শুক্রবার লিপজিগে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন? যদি নামেন, তবে কি মুখোশ পরে খেলতে দেখা যাবে তাঁকে? আর একান্তই তিনি না খেললে আক্রমণে কতটা জোর দিতে পারবে দিদিয়ের দেশঁর ফ্রান্স?
তবে বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের অনুশীলন পর্বের পর দলের একনম্বর তারকাকে নিয়ে কিছুটা নিশ্চিন্ত হতেই পারেন ফরাসি সমর্থককূল। ম্যাচের আগের দিন স্বাভাবিকভাবেই অনুশীলনে নামতে দেখা গিয়েছে এমবাপেকে (Kylian Mbappé)। মাঠে এসে দীর্ঘক্ষণ কোচ দেশঁর সঙ্গে আলোচনা করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। এরপর দলের সঙ্গে ওয়ার্ম আপও করেন তিনি। তবে পুরোদমে প্র্যাকটিস শুরু হওয়ার পর আর সতীর্থদের পাশে দেখা যায়নি এমবাপেকে। সেসময় নিজের মতো করে বল পায়ে অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। এদিন শুরুতে নাকে প্লাস্টার লাগিয়ে মাঠে আসেন এমবাপে। অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলার সময় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের সঙ্গে সংঘর্ষে নাকের হাড় ভেঙেছে তাঁর। পরে কোচ দেশঁ (Didier Deschamps) জানান, চোট সারাতে অস্ত্রোপচার করাতেই হবে। তবে এখনই এমবাপের অস্ত্রোপচারের পক্ষে নয় ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন (FFF)। কারণ সেক্ষেত্রে ইউরোয় তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দেবে। এই অবস্থায় তাঁকে মুখোশ পরিয়ে খেলানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পরের দিকে ফ্রান্সের জাতীয় পতাকার রংয়ের সেই মুখোশ পরেই অনুশীলন করেন এমবাপে।
শুক্রবার লিপজিগে ডাচদের হারাতে পারলেই নকআউটে পৌঁছে যাবে ফ্রান্স। আপাতত সেদিকেই নজর রয়েছে দেশঁর। দলের ফুটবলারদের ফিট রাখতে অভিনব পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। ইউরোর (Euro Cup 2024) মধ্যেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমে পড়েছিল ফ্রান্স। বুধবার পাডেরবর্নের অনূর্ধ্ব ২১ দলের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ খেলে তারা। এই ম্যাচে দলে ছিলেন অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে সুযোগ না পাওয়া ফরাসি ফুটবলাররা। ব্র্যাডলি বার্কোলার হ্যাটট্রিকে ভর করে সেই ম্যাচে ৭-০ গোলে জেতেন দেশঁর ছাত্ররা। এছাড়া গোল পেয়েছেন রোন্ডাল কোলো মুয়ানি, কিংসলে কোম্যান, ইউসুফ ফোফানা এবং ইব্রাহিমা কোনাতে। ফলে এমবাপের চোট-উদ্বেগের মধ্যে ব্র্যাডলিদের পারফরম্যান্স অনেকটাই নিশ্চিন্ত করবে দেশঁকে।
ইউরোর যোগ্যতা অর্জন পর্বে ডাচদের সঙ্গে একই গ্রুপে ছিল ফ্রান্স (France)। দু’সাক্ষাতেই হেরেছেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক, কোডি গাকপোরা। সেই দলের বিরুদ্ধে নামার আগে দেশঁ বলেন, “ইউরোর মতো মঞ্চে প্রতিটা ম্যাচ পরিশ্রম করে জিততে হয়। প্রত্যেকে দলের জন্য লড়বে, নিজেদের সেরাটা দেবে, তবেই একটা প্রতিযোগিতা জেতা সম্ভব।” ইউরোয় নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ফ্রান্সের সাক্ষাৎ হতে চলেছে ১৬ বছর পর। ’৯৬ ইউরোয় ডাচদের টাইব্রেকারে হারিয়েই সেমিফাইনালে গিয়েছিল ফ্রান্স। আবার ২০০০ এবং ২০০৮-এ গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে পরাজিত হয় ফরাসিরা। এবার সেই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে ফ্রান্স।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.