কল্যাণ চৌবে। ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় ফুটবলের ২০২৩-২৪ মরশুম প্রায় শেষের পথে। আইএসএলের (ISL) প্লে অফ এখনও বাকি থাকলেও আই লিগের (I League) বিভিন্ন পর্যায়ের ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে। আর এরই মাঝে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey) জানালেন, আই লিগ ৩ (I League 3) ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ রাখতে চলেছে।
চলতি মরশুম থেকেই চালু হয়েছে আই লিগ ৩। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ২৫টি ফুটবল ক্লাব তাতে অংশগ্রহণ করেছে। নতুন পরিচালন সমিতির অধীনে ঘরোয়া ফুটবলের সার্বিক বিকাশ দেখে খুশি কল্যাণ চৌবে। তিনি জানান, “ভারতের বিশাল ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে আমরা চেষ্টা করছি, দেশের ফুটবলের ফাঁকগুলো পূরণ করার। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, চতুর্থ স্তরে একটা প্রতিযোগিতা চালু করা। যেখানে আধা-পেশাদার ক্লাবগুলো অংশগ্রহণ করতে পারবে।”
গত নভেম্বর মাসে চালু হয়েছিল আই লিগ ৩। কল্যাণ চৌবের মতে, এই প্রতিযোগিতা ভারতীয় ফুটবলের অপূর্ণ জায়গাটা পূর্ণ করবে। দেশের ফুটবল এখন যে রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিতে পারে আই লিগ ৩। একই সঙ্গে দেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে। ২ মাসের তীব্র লড়াইয়ের শেষে আই লিগ ২-এ উঠেছে স্পোর্টিং ক্লাব ডি গোয়া, ডেম্পো, স্পোর্টিং ক্লাব বেঙ্গালুরু। এর মধ্যে বেঙ্গালুরুর ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০২২ সালে। ফলে দু বছরের মধ্যেই অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে এই ক্লাব।
তাদের সাফল্যের দিকে ইঙ্গিত করে কল্যাণ বলেন, “পরের বছর এই ক্লাবটার দিকে নজর রাখবেন। কে বলতে পারে, এই নতুন ক্লাবটা পরের বছরের শেষে আইএসএলের দরজায় ধাক্কা দেবে না?” বেঙ্গালুরুর সাফল্যই প্রমাণ করে দেশের ফুটবল নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় ফুটবলের প্রেসিডেন্টের মতে, ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ভারতের প্রতিটি লিগের মধ্যে ধারাবাহিক যোগাযোগের রাস্তা তৈরি হচ্ছে। বাংলা থেকে এই লিগে এবার অংশগ্রহণ করেছিল ভবানীপুর ফুটবল ক্লাব ও ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব। দুটি ক্লাবই অল্পের জন্য প্লে অফের সুযোগ হারিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.