মোলিনা। ছবি: আইএসএল।
দুলাল দে: আচ্ছা, ঠিক কী হয়েছে জেমি ম্যাকলারেনের?
এত কাঠখড় পুড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে। কিন্তু ম্যাচের সময় কোথায় তিনি? গ্যালারিতে বসে দেখছেন ডুরান্ড ফাইনালে হেরে যাচ্ছে তাঁর দল। ঘরের মাঠে আইএসএলের প্রথম ম্যাচেও পুরো পয়েন্ট পাচ্ছে না মোহনবাগান। হাতে ম্যাকলারিনের মতো ফুটবলার। কিন্তু চোটের জন্য খেলানোর সুযোগই পাচ্ছেন না কোচ মোলিনা। চোট বলতে, পায়ে নয়। ঘাড়ে। আর তা নিয়েই এতদিন ধরে চলছে টাল বাহানা। দল সূত্রে যা জানা যাচ্ছে, তাতে চোট সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে এফসি রাভশানের বিরুদ্ধে খেলার আগে এদিন যুবভারতীতে প্র্যাকটিস শেষ করে বললেন, ‘‘খেলার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি। এবার কোচ আর ডাক্তার বলতে পারবেন, আমাকে বুধবারের ম্যাচে খেলাবেন কি না।’’
এখানেই হয়েছে মূল সমস্যা। ম্যাকলারেনকে খেলানো হবে কি হবে না, সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না মোহনবাগান (Mohun Bagan) কোচ। এমনিতেই এসিএল-২ (AFC Champions League 2) শুরুর মুখে বেশ চাপে রয়েছেন মোলিনা। প্রতিপক্ষ এফসি রাভশান যেখানে ৭জন বিদেশি নিয়ে খেলতে নামবে, সেখানে মোহনবাগান খেলবে চারজন বিদেশিতে। তার উপর চোটের জন্য স্টপারের আলবার্তো রডরিগেজ এদিন প্র্যাকটিসেই আসতে পারলেন না। স্বাভাবিকভাবেই সাংবাদিক সম্মেলনে কোচ জানালেন, আলবার্তোর মতো ম্যাকলারেনও বুধবারের ম্যাচে অনিশ্চিত। তবে একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার জেমি ম্যাকলারেনকে নিয়ে আলাদা করে মোলিনা বলেছেন, ‘‘দিন দিন উন্নতি করছে জেমি। তবে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি ওকে খেলানো হবে কি না।’’
অনেকে বলছেন, চোট থেকে যেহেতু সেরে উঠেছেন, তাই তাজাকিস্তানের শক্তিশালী এফসি রাভশানের বিরুদ্ধে শুরুতেই নামানো হবে না। খুব বেশি হলে রিজার্ভে রেখে দেওয়া হতে পারে। সেরকম হলে দরকারে শেষ ১০-১৫ মিনিট ম্যাকলারিনকে দেখতে পারেন তিনি। তবে এখানেও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আইএসএলের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে ড্র করতে হয়েছে। পরের ম্যাচ সোমবার ঘরের মাঠে নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে। যাদের কাছে ডুরান্ড ফাইনালে হারতে হয়েছে। অনেকে চাইছেন, আইএসএলের দ্বিতীয় ম্যাচে শুরু থেকে মাঠে নামুন অস্ট্রেলিয়ান তারকা স্ট্রাইকার। তবে সিদ্ধান্ত যাই হোক, আলবার্তো খেলতে না পারলে ডিফেন্স নিয়ে সত্যিই সমস্যায় রয়েছেন মোলিনা। যদিও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মানতে চাইলেন না ডিফেন্সের সমস্যা। নতুন বিদেশি ডিফেন্ডার নুনো খুব সম্ভবত কলকাতায় আসবেন শুক্রবারের মধ্যে।
সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবারের মধ্যেও চলে আসতে পারেন। তাতেও আলবার্তো আর নুনোকে পরবর্তী সময়ে খেলালে আক্রমণে মাত্র দু’দন বিদেশি খেলাতে পারবেন। ফলে আইএসএলে পরিকল্পনা মতো দলকে কিছুতেই খেলাতে পারবেন না মোহনবাগান কোচ। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সব ৭ জন বিদেশিকেই খেলানোর সুযোগ থাকলেও, খেলাতে পারছেন মাত্র চার জনকে। ফলে মোলিনা চাইছেন বুধবার ঘরের মাঠে সম্মানজনক ফল নিয়ে ম্যাচ শেষ করতে। তবে আইএসএলের সঙ্গে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার কোনও পার্থক্য হবে কি না জিজ্ঞাসা করে হলে মোলিনা বললেন, ‘‘আইএসএল খেলি অথবা এএফসি। দল তো একই থাকবে। তাই খেলার স্টাইলও একই। যদি দেখা যেত দুটো ভিন্ন প্রতিযোগিতায় আলাদা আলাদা দল খেলানোর সুযোগ আছে, তাহলে বলতাম, আলাদা পরিকল্পনা নিয়ে খেলব।’’
এসিএল টু
মোহনবাগান বনাম রাভশান
যুবভারতী, সন্ধে ৭-৩০
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.