সুমন করাতি, হুগলি: বাড়ির ছোট্ট গোপালের বড় প্রিয় তালের সব পদ। সে বড়াই হোক বা পিঠে কিংবা ক্ষীর। জন্মাষ্টমীর দিন পঞ্চব্যঞ্জনে তার পাত সাজিয়ে না দিলে মনটা বড় খুঁতখুঁত করে! কিন্তু হাতে যে এসব বানানোর সময়ই নেই। তবে কি গোপাল তার প্রিয় খাবার না খেয়েই থাকবে? মোটেই তা নয়। আপনার জন্য মুশকিল আসান ব্যান্ডেলের এক মিষ্টার দোকান। সেখানে তালের বড়া থেকে তাল ফুলুরি – সব পাওয়া যাচ্ছে এক ছাদের নিচে। আর দোকানে ভিড়ও তেমন। যা দেখে আনন্দে উৎফুল্ল দোকান মালিক।
‘তালের বড়া খাইয়া নন্দ নাচিতে লাগিল’, এই গান কে-না শুনেছে? শ্রীকৃষ্ণ তালের বড়া খেতে খুব ভালোবাসে। বছর কয়েক আগেও জন্মাষ্টমীর (Janmashtami) দিন বাড়িতে বাড়িতে তালের বড়া ভাজার গন্ধে ম ম করত গোটা পাড়া। তাল ফুলুরি বা ক্ষীর তৈরি করতেন কেউ কেউ। কিন্তু আজকের জেট যুগে তাল ছাড়িয়ে, মেখে, বড়া তৈরি করে ভাজা – এত কিছুর সময় খুব কম। তাই রেডিমেড তালের বড়াই ভরসা। আর মিষ্টির দোকানগুলির বেশ মওকা বুঝে এই সময়ে সেসব দেদার বিক্রি করে। ব্যান্ডেলের (Bandel) একটি দোকানে সেই সম্ভারই দেখা গেল।
মা-ঠাকুমাদের হাতের তৈরি তালের বড়ার স্বাদ – সে এক স্বর্গীয় অনুভূতি। তা এখন না পাওয়া গেলেও দুধের স্বাদ ঘোলে মিটছে। মিষ্টির দোকানগুলি (Sweet Shop) তালের হরেক পদের পসরা সাজিয়ে বসেছে যে! ক্রেতারা বলছেন, ”ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, বাড়ির কাজ, নিজেদের অফিস সামলে আর সময় পাওয়া যায় না যে তালের বড়া তৈরি করব বাড়িতে। কিন্তু উৎসব তো পালন করতেই হয়, পুজো দিতে হয়। তাই এখন মিষ্টির দোকানে ভরসা। আর সিজন অনুযায়ী মিষ্টির দোকানে সব জিনিসই তৈরি হয়। তাই সুবিধা হয়েছে অনেকটা।” ব্যান্ডেলের এই দোকানে তালের বড়ার দাম পাঁচ টাকা প্রতি পিস। আর দেড়শো কিলো তাল দিয়ে তৈরি তালফুলুরির দামও সাধ্যের মধ্যেই। ফলে ক্রেতার ভিড়ও বেশি। তাঁদের হাতে তৈরি তালের বড়া খেয়ে নন্দ নেচে উঠবে, বিক্রির বহরে সেই আশায় দোকানির মনও নেচে উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.