সন্দীপ্তা ভঞ্জ: বর্ষণমুখর রাত আর ভূতের গপ্পো, এই রসায়ণে বাঙালি বরাবর পরিচিত। ফ্রাইডে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সদ্য মুক্তি পেল ‘আমি নন্দিনী’। কতটা গা ছমছমে হল এই ভুতুড়ে সিরিজ? পড়ুন রিভিউ।
অরিন্দম চক্রবর্তী পরিচালিত সিরিজ ‘আমি নন্দিনী’। সিরিজের গল্পের শুরুতেই দেখা যায়, বিয়ে হওয়ার পর শ্বশুরবাড়িতে অরুণিমা পা রাখতেই নানারকম অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা ঘটতে থাকে। বরণের সময়ে প্রদীপ নিভে যাওয়া, বধূবরণের সাদা কাপড়ের ওপর আলতা পরা উলটো পায়ের ছাপ। ফুলসজ্জার রাতে আচমকাই ছাদের কার্নিশ দিয়ে হাঁটতে থাকার মতো নবপরিণীতার অদ্ভুতূড়ে সব কাণ্ডের জেরে পরিবারের সকলে ভয়ে কাঁটা। তার পরই গল্পে নন্দিনীর প্রবেশ। কে এই নন্দিনী বা নন্দু? এই বাড়ির সঙ্গেই বা তার কী সম্পর্কই জড়িয়ে রয়েছে? ধাঁধার মতো ঠেকতে পারে প্রথমটায়। তবে খানিক এগোলেই আন্দাজ করা খুব একটা কঠিন নয় দর্শকদের কাছে।
চেনা ছক। চেনা প্লট। বন্ধুত্ব, প্রেম-ভালোবাসা। না পাওয়ার আত্মযন্ত্রণা। প্রতিশোধস্পৃহ আত্মার ভিড় আগে কম দেখেননি দর্শকরা! ‘আমি নন্দিনী’ সিরিজও সেই চেনা ছকের গল্প। অনেকটা বলিউডের ‘ভুলভুলাইয়া’র কথা মনে করাবে। একাধিক প্লট কিংবা উপকরণ থাকলেও চিত্রনাট্যের বাঁধন ঠিক যতটা আলগা, ততটাই মেকিং! ভুতুড়ে সিরিজে গা ছমছমে বিষয়টাই অনুপস্থিত। স্মার্ট দর্শকদের বর্তমানে ভয় দেখানো সহজ নয়। তাই স্টোরি টেলিংয়ে আরেকটু নজর দিলে ভালো হত। প্রথম ওয়েব সিরিজে নতুন বউমা অরুণিমার ভূমিকায় শ্বেতা ভট্টাচার্য যথাযথ। সৌরভ দাস বরাবর ‘ডিরেক্টর্স অ্যাক্টর’। এই সিরিজে তাঁর ঠিক যতটা দেওয়া দরকার ছিল, ততটাই দিয়েছেন। প্যারাসাইকোলজিস্টের চরিত্রটির এখানে ঠিক কতটা প্রয়োজন ছিল? দেখতে বসে সেই প্রশ্ন মনে জাগে। উপকরণ থাকলেও খুব একটা জমল না ‘আমি নন্দিনী’।
View this post on Instagram
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.