সুপর্ণা মজুমদার: সিনেমার পর্দায় কালিয়াচক হত্যাকাণ্ড। ঠান্ডা মাথায় নিজের পরিবারের চার সদস্যকে খুন করার অভিযোগ মহম্মদ আসিফের বিরুদ্ধে। মরদেহ নাকি জলের ট্যাঙ্কে ফেলে রেখেছিল সে। কীভাবে কেউ এমন কাজ করতে পারে? তার পর নির্লিপ্তও থাকতে পারে! এমন প্রশ্নে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। সেই স্মৃতিই ফেরাল রাতুল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘কালিয়াচক: চ্যাপ্টার ১’ (Kaliachak Chapter 1)।
ক্রাইম, থ্রিলার, ড্রামা – এই তিন শব্দেই জোর দিয়েছেন পরিচালক রাতুল। সিনেমার স্বার্থে সৃষ্টিশীল পরিবর্তনের স্বাধীনতা তিনি নিয়েছেন। একজন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে যে তিনি এমন জটিল বিষয় নির্বাচন করেছেন তার জন্য সাধুবাদ প্রাপ্য। যেভাবে তিনি গল্প বলেছেন তাতে কখনও কখনও আবার কালিয়াচককে ‘ওয়াসেপুর’ বা ‘মির্জাপুর’ মনে হতে পারে।
ছবির মূল চরিত্র আশিক। এই ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অসীম আখতারকে। রূপাঞ্জনা মিত্র অভিনয় করেছেন পুলিশ অফিসার সুধা মালাকারের ভূমিকায়। এছাড়াও ছবিতে রয়েছেন দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত, দেবপ্রসাদ হালদার, পার্থ সারথী, মৃণ্ময় দাস, পূজা সাহা। হ্যাঁ, রাতুলের সিনেমার অভিনেতা প্রায় নতুন। ক্যামেরার সামনে চরিত্র হয়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন তাঁরা। তবে গল্পের আরও একটু বাঁধুনি প্রয়োজন ছিল বলেই মনে হয়েছে।
সময়ের বিভিন্ন স্তরে গল্পটি বলার চেষ্টা করেছেন রাতুল। কখনও অতীত, কখনও বর্তমানে চরিত্রদের নিয়ে এসেছেন তিনি। শেষে একটি টুইস্টও রেখেছেন। দিয়েছেন ‘কালিয়াচক: চ্যাপ্টার ২’র আভাস। পুলিশ অফিসারের চরিত্রে রূপাঞ্জনা নিজের ভূমিকায় পালন করেছেন। আশিকের বাবার চরিত্রে দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত নজরকাড়া। তাঁর চোখের অভিব্যক্তি ভালো লেগেছে। অসীমের কাছ থেকে পরবর্তী ছবির জন্য আরও বেশি প্রত্যাশা রইল। রাতুলের চেষ্টা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। তবে চিত্রনাট্য আরও একটু মেদহীন হতে পারতো। আর মনস্তাত্ত্বিক দিকটি আরও একটু এক্সপ্লোর করা যেতে পারত বলেই মনে হয়েছে।
ছবি – কালিয়াচক: চ্যাপ্টার ১
অভিনয়ে – অসীম আখতার, রূপাঞ্জনা মিত্র, দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত, দেবপ্রসাদ হালদার, পার্থ সারথী, মৃণ্ময় দাস, পূজা সাহা প্রমুখ
পরিচালনায় – রাতুল মুখোপাধ্যায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.