সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রাইম থ্রিলার করতে করতে হঠাৎই ইচ্ছে হল প্রেমের গল্প বলার। তাই একটা লম্বা প্রেমের গল্প লিখে ফেললেন পরিচালক নীরজ পাণ্ডে। তবে নীরজ কি আর সাধারণ প্রেমের গল্প তৈরি করে ক্ষান্ত থাকবেন? নাহ, তা করলেন না। বরং নয়ের দশকের ধাঁচে, নয়ের দশকের হিট জুটিকে সঙ্গে নিয়ে বানিয়ে ফেললেন এক ব্যতিক্রমী প্রেমের গল্প। যেখানে প্রেম শরীর সর্বস্ব নয়, যেখানে প্রেমের মধুর মিলন নয়। বরং যেখানে প্রেম একেবারেই চিরন্তন! আর তা মনের মধ্যে যত্নে বন্দি করে রাখা। সত্য়িই তো এমন প্রেম করার জন্য তো বুকে দম লাগে। আর সেই কারণেই নীরজের এই ছবির নাম ‘অউরো মে কাহা দম থা’। নীরজের এই ছবির প্রেক্ষাপট মোটামুটি এমন প্রেম নিয়েই। তবে গল্প বলার সময় বেশ কিছু টুইস্ট রেখেছেন নীরজ। এই টুইস্টই নীরজের এই ছবির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
এবার গল্পটা কিছুটা হলেও ছুঁয়ে দেওয়া যাক। গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে কৃষ্ণ ও বসুধা। যারা একসময় ভেবেছিল, কোনও পরিস্থিতিতেই তাঁদের সম্পর্ক ভাঙবে না। কিন্তু হঠাৎই গল্পের মোড় অন্যদিকে চলে যায়। আলাদা হয়ে যায় কৃ্ষ্ণ ও বসুধা। কৃষ্ণর কাঁধে খুনির তকমা। আর বসুধা বিয়ে করে অন্য পুরুষকে। মধ্যিখানে কেটে যায় ২৫টা বছর। বসুধার কাছে ফিরে আসে কৃষ্ণ। আর এরপরই শুরু নতুন টানাপোড়েন।
নীরজ এমনই এক গল্পকে তাঁর থ্রিলার ধারার গল্পের ছকে ফেলেছেন। যা কিনা ছবির প্রথমার্ধে একেবারে ধীর গতিতে এগোয়। দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই গল্প কিছুটা হলেও ঠিকঠাক দিকে এগোতে থাকে।
নীরজের এই ছবি একেবারেই দাঁড়িয়ে রয়েছে অভিনয়ের উপর। যার পুরো দায়িত্বই কাঁধে তুলে নেন অজয় দেবগণ ও তাব্বু। মুগ্ধ হয়ে দেখতে হয়, সেই বিজয়পথ ছবির হিট রোমান্টিক জুটিকে। যাঁরা দৃশ্যম-এ শত্রু হলেও, এই ছবিতে প্রেমে ভরপুর। তবে বহুদিন পর জিমি শেরগিল নিজের ছাপ রেখেছেন ছবিতে। সব মিলিয়ে পরিচালক নীরজ পাণ্ডে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। পরিচালক আগে বলেছিলেন, “কখনও কখনও এর কোনও শেষ নেই। অনেকটা প্রেমের মতো।’’ এই ছবি দেখতে দেখতে এরকম মনে হতেই পারে দর্শকদের। যাঁরা ভরপুর প্রেমের ছবি দেখতে পছন্দ করেন, তাঁরা দেখতে পারেন অজয় ও তাব্বুর এই ছবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.