Advertisement
Advertisement

Breaking News

Durga Puja 2024

পুজোয় ‘জ্যাকপট’ সমুদ্রগড়ে, কোটি টাকার তাঁতের শাড়ি বিকিকিনি

সমুদ্রগড়ের হাটে কোটি টাকার ব্যবসায় চওড়া হাসি তাঁতীদের মুখে।

Durga Puja 2024: Samudragarh Weavers makes fortune selling sarees this Puja
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:September 25, 2024 8:00 pm
  • Updated:September 26, 2024 4:41 pm  

অভিষেক চৌধুরী, কালনা: নিম্নচাপ কাটতেই পুজোর মুখে এক-একদিনে কোটি টাকার কেনাবেচা হচ্ছে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের সমুদ্রগড়ের গণেশচন্দ্র কর্মকার তাঁত কাপড় হাটে। শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলাই নয়,হুগলি, নদীয়া, বীরভূম, বাঁকুড়ার মত বিভিন্ন জেলার মানুষজনের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের ক্রেতাদের জমজমাট ভিড়ে তাঁত কাপড় হাটই যেন হয়ে উঠেছে পুজো প্রাঙ্গন। স্বাভাবিক কারণেই চওড়া হাসি ফুটছে বিক্রেতাদের মুখে। সপ্তাহের অন্য দিনগুলিতে এই ছবি দেখা গেলেও ছুটির দিনগুলিতে ভিড়ের ঠেলায় পা রাখাই দায় হয়ে ওঠে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রয়েছে পুলিশি নজরদারি। পুজোর মুখে বিক্রিবাটা ভালো হওয়ায় বিক্রেতাদের মুখে চওড়া হাসি ফুটেছে।

তাঁত অধ্যুষিত এলাকা হিসাবে সুনাম রয়েছে কালনা ও পূর্বস্থলী ১ ব্লকের। কারণ এখানে কয়েক হাজার তাঁতির বসবাস। তাঁতশিল্পের উপর নির্ভর করেই চলে তাদের জীবন-জীবিকা। সারা বছর ধরে বিকিকিনি চললেও পুজোর(Durga Puja 2024) সময় আরও ভালো বিক্রিবাটার দিকে তাকিয়ে থাকেন তারা। কারণ এই সময়ই তাঁতের শাড়ি-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি বিক্রি হয়। কিন্তু হলে কী হবে, পুজোর মুখে নিম্নচাপ ও খারাপ আবহাওয়ার জেরে কেনাবেচায় মন্দা দেখা দেয়। মেঘ কেটে রোদ উঠতেই সমুদ্রগড় তাঁত কাপড় হাটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় কোটি টাকার বিক্রিবাটা হচ্ছে। এখানে রয়েছে চারশোর বেশি বিক্রেতা। প্রতিদিনই শাড়ি বিক্রেতাদের ৫০ হাজার টাকার কমবেশি শাড়ি বিক্রি হয়।

Advertisement

বীরভূম থেকে আসা ঝুমা ঘোষ জানান, “এই প্রথমবার সমুদ্রগড় তাঁত কাপড় হাটে এলাম। শুনেছি অনেক। এবার নিজের চোখেই দেখলাম খুব কম দামে, পাইকারী দরে খুব ভালোমানের তাঁতের শাড়ি মেলে। গুনগত মানও বেশ ভালো। এবার থেকে প্রতিবারই আসব।” হুগলী থেকে আসা অপর্ণা ঘোষ বলেন, “প্রতিবারই এখানে আসি। কারণ খুব কম দামে বিভিন্ন ডিজাইনের মনের মত জিনিস পাওয়া যায় এখানে।” সমুদ্রগড় তাঁত কাপড় হাটের দায়িত্বে থাকা সুবীর কর্মকার বলেন, “এখানে সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও রবিবার হাট বসে। যদিও পুজোর আগে প্রতিদিনই হাট বসে। পুজোর মুখে প্রথম দিকে ৫০-৬০ লক্ষ টাকার কেনাবেচা হয়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে আগের সপ্তাহে বিক্রিবাটা ভালো না হলেও এখন প্রায় দিনই ৭০-৮০ লক্ষ টাকার শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। কোনও কোনও দিন কোটিও ছাপিয়ে যায়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement