Advertisement
Advertisement

Breaking News

সস্তায় রাজ্যবাসীকে তুলাইপাঞ্জি ও গোবিন্দভোগ খাওয়ানোর উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর

শুরুতে ‘সুফল বাংলা’, পরে রেশনে বিক্রির ভাবনা।

West Bengal govt to sell Tulaipanji rice at subsidized price
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 12, 2018 9:37 am
  • Updated:September 13, 2019 12:15 pm  

সন্দীপ চক্রবর্তী: রসনাপ্রিয় বাঙালির জন্য সুখবরই বটে। বাংলার সেরা দুই সুগন্ধী চাল গোবিন্দভোগ ও তুলাইপাঞ্জি সস্তায় সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেবে রাজ্য সরকার। চলতি বছরে পুজোর পর বা আগামী বছরের প্রথমদিকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। বাজারদরের অন্তত ২০-২৫ শতাংশ কম দামে রাজ্যের বিভিন্ন স্টলে এই চাল বিক্রি করবে সরকার। আপাতত ঠিক রয়েছে,  প্রথমে সুফল বাংলার স্টলগুলিতে এগুলি বিক্রি করা হবে। ফলন বৃদ্ধির পর রেশন দোকানেও দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই শুরু হচ্ছে এই প্রক্রিয়া। এরপরেই কৃষি বিজ্ঞানী ও আধিকারিকদের কাছ থেকে ফলন বাড়ানো ও আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা করেছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ডঃ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

[নজিরবিহীন নজরদারিতে আজ থেকে শুরু মাধ্যমিক]

এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,  আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ বা আগামী বছরের শুরুতেই চালু হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষকে অনেক সস্তায় এই দুই সুগন্ধী চাল দেওয়া যাবে। দুরকম চালের ফলনও বাড়ছে। কৃষকরাও লাভের মুখ দেখছেন। ফলে রাজ্যবাসীর কাছে সস্তায় চাল পৌঁছে দেওয়া সমস্যার কথা নয়।

Advertisement

tulaipanji-rice

বর্ধমানে সাত দিনের মাটি উৎসবে এবার মোট চাল বিক্রির পরিমাণ প্রায় এক কোটি সাত লক্ষ টাকা। প্রতিটি মেলাতেই এই দুই চালের ক্রেতা বিক্রেতা রয়েছে। চাল জোগানের জন্য দু’তরফেরই ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়। মাটি উৎসব ও অন্য কৃষিমেলায় কেজি প্রতি ৭০ টাকা দরে তুলাইপাঞ্জি বিক্রি হয়েছে। গোবিন্দভোগের দাম ছিল ৬০ টাকার মতো। কৃষি দপ্তরের তথ্য,  তুলাইপাঞ্জি মূলত উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মহকুমা ও দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি অংশে উৎপাদিত হয়। সেখানকার জলবায়ুতে তা মানানসই। উত্তরবঙ্গের আরও কিছু এলাকায় এই চালের উৎপাদন করা যেতে পারে বলে কৃষি বিজ্ঞানীদের মত। সেক্ষেত্রে ফলন অনেকটাই বাড়বে। তেমনই গোবিন্দভোগ চাল মূলত পূর্ব বর্ধমানের রায়না-১ ও ২ নম্বর ব্লক ও খণ্ডঘোষে খুব ভাল ফলে। পূর্ব বর্ধমান জেলারই আউশগ্রাম,  মন্তেশ্বর,  জামালপুর ছাড়িয়ে অনেকটা দূর পর্যন্ত এই চাল ভালভাবে ফলানো যেতে পারে। পূর্ব বর্ধমান,  হুগলি,  নদিয়া, বীরভূম,  দুই ২৪ পরগনা,  হাওড়াও এই চাল উৎপাদনের উপযোগী বলে মনে করছেন তাঁরা। বাঁকুড়া,  পুরুলিয়াতেও চাল তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।

উল্লেখ্য, তুলাইপাঞ্জি ও গোবিন্দভোগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার পেটেন্ট নিয়ে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী কৃষি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন,  এই দুই সুগন্ধী চাল সুলভে মানুষের রান্নাঘরে পৌঁছে দিতে হবে। সেই কাজই এবার শুরু হতে চলেছে।

[জমির জন্য চাপ, না দেওয়ায় প্রতিবেশীর দরজায় পাঁচিল তুলে ‘শিক্ষা’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement