সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: শিলাবৃষ্টিতে ঝাড়গ্রামের বেশ কয়েকটি এলাকায় সবজি ও বোরোধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরিষা ও তিল চাষেরও ক্ষতি হয়েছে বলে খবর। জেলার কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাঁকরাইল ব্লকের রগড়া, আধারি, ছত্রি, ধানঘোরি ও রোহিণী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। গোপীবল্লভপুর ও সাঁকরাইলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড় হয়। সঙ্গে হালকা বৃষ্টি। তারপরই সাঁকরাইল ব্লকের ওই এলাকাগুলিতে প্রবল শিলাবৃষ্টি হয়। মিনিট কুড়ির শিলাবৃষ্টিতে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বিশেষ করে আঁধারি পঞ্চায়েতের দক্ষিণ দাঁড়ি, আধারি, বীরডাহি, তেঁতুলিয়া, ধানঘোরি, বহড়াদাড়ি, ভগবানচক, বৈঞ্চা গ্রামের বিস্তীর্ণ জমির উচ্ছে, কুমড়ো, ঝিঙে, শশা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর। এলাকার অর্থকরী সবজি চাষের এমন অবস্থায় মাথায় হাত চাষিদের। ভগবানচকের তীর্থ বেরার দু’বিঘা জমির কুমড়ো ও বেগুন চাষের ক্ষতি হয়েছে। বহড়াদাড়ির দেড় বিঘা জমির উচ্ছে চাষের দফারফা হয়ে গিয়েছে। এলাকার চাষিরা জানাচ্ছেন, স্থানীয় সবজি প্রতিদিন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে সাঁকরাইল ব্লকের আঁধারি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত করলা চাষ।
নাগাড়ে শিলাবৃষ্টিতে জমির কোনও গাছের একটি পাতাও নেই বলে জানাচ্ছেন চাষিরা। তবে প্রায় ৫০০ হেক্টরের ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে কৃষি দপ্তর মনে করছে। এদিকে, সাঁকরাইলের বিডিও রোহন ঘোষ বলেন, “শিলাবৃষ্টিতে ও ঝড়ে সবজির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছত্রির দিকে গাছ পড়েছিল। চার-পাঁচটি মাটির বাড়ি আংশিক ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রিপোর্ট জেলায় পাঠানো হয়েছে। চাষের ক্ষয়ক্ষতি কৃষি দপ্তর নির্ধারণ করছে।” সাঁকরাইল ব্লকের সহ- কৃষি অধিকর্তা মোহনলাল হাঁসদা জানিয়েছেন, “ব্লকে ১৪০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.