নিজস্ব সংবাদদাতা, পাত্রসায়র: মন্দির চত্বরে বিস্তৃত উষরডাঙা। সেই জমি চাষের উপযোগী করা হয়েছে। উষর ডাঙায় ফুটবে সুগন্ধি ফুল। সেই ফুলের গন্ধে সুভাষিত হবে গোটা তল্লাট। সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি স্বনির্ভরতার দিশা দেখাতে গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে শুরু হল ফুলের চাষ। বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে বেলুট গ্রামের মা বাসন্তী মন্দির চত্বরে গোলাপ-সহ নানা প্রজাতির সুগন্ধী ফুলের চাষ শুরু হল। এই ফুল চাষ এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আগামী দিনে নতুন আয়ের পথ দেখাবে বলে আশাবাদী প্রশাসন। পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার বাসিন্দারা।
বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস বাড়ি বলেন, “বেলুট গ্রামের মা বাসন্তী মন্দিরের সামনে প্রায় এক বিঘার মতো ফাঁকা জমি পড়েছিল। বহু দর্শনার্থী প্রতিদিন মন্দিরে যান। ওই জমিতে গোলাপ (Rose), চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, সুপুরি, ডালিয়া, পাতাবাহার-সহ নানা প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছ লাগানো হচ্ছে। তার ফলে মন্দির এলাকার সৌন্দর্য যেমন বাড়বে তেমনই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই ফুলের বাগান পরিচর্যা করে আগামী দিনে নতুন আয়ের দিশা পাবেন। আপাতত এক হাজার গোলাপ-সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল গাছ লাগানো হয়েছে। এই বাগানের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার সম্পূর্ণ দায়িত্ব স্থানীয় একট স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে। চাষের জন্য উন্নতমানের রাসায়নিক ও জৈব সার-সহ যাবতীয় কৃষিজাত উপকরণ কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে এই চাষ সফল হলে আরও কিছু জমিতে গোলাপ বাগান তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দা অভিষেক মুখোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েতের উদ্যোগে নদীতে সেচবাঁধ থেকে ফুলের বাগান সবই তৈরি হয়েছে। এতে সৌন্দর্য যেমন বাড়বে তেমনই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নতুন আয়ের দিশা পাবেন। পঞ্চায়েতের এই কাজে আমরা খুশি।” এই বাগানের দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা লক্ষ্মী রুইদাস বলেন, “এলাকায় গাঁদা ফুলের চাষ হয়। কিন্তু এখানে গোলাপ ফুল সেভাবে চাষ হয় না। পঞ্চায়েত প্রধান তাপস বাড়ির প্রচেষ্টায় এত সুন্দর একটা বাগান তৈরি হয়েছে। গোলাপ ফুল বিক্রি করে আমাদেরও লক্ষ্মীলাভ হবে। আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে এই বাগান সুন্দর করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।” গোলাপের মিষ্টি গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠবে বেলুট গ্রাম। ওই গ্রামের বাসন্তী মন্দির চত্বর থেকে পথচলা শুরু হল গোলাপের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.