Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mango

ডাল ছাঁটলেই বাড়বে গুণমান, বিকল্প কৌশলে আম চাষে হতে পারে ব্যাপক লক্ষ্মীলাভ

চারা অবস্থায় বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ডাল ছাঁটলে দেড়গুণ কম সময়ে ফলন পাওয়া সম্ভব।

Tips to improve mango cultivation in a different way । Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 21, 2024 5:14 pm
  • Updated:February 21, 2024 5:14 pm  

আমাদের দেশে, রপ্তানির ক্ষেত্রে অন্যান্য ফলের তুলনায় আম বেশি সম্ভাবনাময়। প্রতি একক জমিতে আমের উৎপাদন বৃদ্ধি ও গুণগত মান উন্নত করা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। প্রচলিত আম চাষ পদ্ধতির বাইরে গিয়ে উৎপাদন ও গুণমান বৃদ্ধির করা প্রয়োজন। 

তার উপায়গুলি হল
১) ডালছাঁটার মাধ্যমে গাছের আকার নিয়ন্ত্রণ ও সেই লক্ষ্যে যথাযথ পরিচর্যা।
২) এই জাতীয় নিয়ন্ত্রিত আকৃতির গাছ ঘন করে লাগানো। চিরাচরিত প্রথায় যেখানে ১০-১২ মিটার দূরত্বে আম গাছ লাগানো হয়, সেখানে এই পদ্ধতিতে উপযুক্ত পরিচর্যার মাধ্যমে (ডাল ছাঁটা ও উপরিভাগের পরিচর্যা) আমরা ৪-৬ মিটার দূরত্বে গাছ লাগিয়ে অনেক বেশি উৎপাদন পেতে পারি। ডাল ছাঁটার ক্ষেত্রে আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল, গাছের স্বাস্থ্য, ফলন এবং ফলের গুণগত মান বাড়ানোর জন্য অনুৎপাদনশীল অংশ ছেঁটে ফেলা। অধিক ঘনত্বে গাছ লাগাতে হলে স্বভাবতই গাছের আকার নিয়ন্ত্রণ আবশ্যিক। আধুনিক ফলচাষের মূল কথা হ’ল গাছ যত আমাদের হাতের নাগালে থাকবে তত ভাল পরিচর্যা সম্ভব। আর আকার নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায় হল, ডাল ছাঁটা ও তার পরিচর্যা।
চারা অবস্থায় ডাল ছাঁটার পদ্ধতি
চারা অবস্থায় বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ডাল ছাঁটলে, চিরাচরিত পদ্ধতির তুলনায় দেড়গুণ কম সময়ে ফলন পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও, এই পদ্ধতিতে গাছের আকার নিয়ন্ত্রণের ফলে, সামগ্রিক পরিচর্যা ও ফল পাড়ার খরচ বহুলাংশে কমানো সম্ভব। ফলনও তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি পাওয়া সম্ভব।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্যের ২ জেলায় বাড়ছে বাজরার উৎপাদন, জেনে নিন চাষের পদ্ধতি]

এই ভাবে ডাল ছাঁটার ফলে
১) মাটি থেকে কম উচ্চতায় শাখাপ্রশাখা জন্মায়। অনেক কম খরচে ফল পাড়া সম্ভব হয়।
২) শাখাপ্রশাখা অনেক বেশি হওয়ার ফলে ফল উৎপাদন বহু গুণ বৃদ্ধি পায়।গাছের কাণ্ডের কাটা অংশ থেকে ১০-১২ টি কচি শাখা জন্মায়। তার মধ্যে ৪-৫ টি নির্বাচিত শাখা রেখে বাকি গুলো কেটে ফেলতে হবে। এরপর ওই ৪-৫ টি শাখাকেও যে পদ্ধতিতে চারা গাছকে ছাঁটা হয়েছিল সেই একই পদ্ধতিতে ছাঁটতে হবে। এই কৌশল অবলম্বন করলে শাখার সংখ্যা দ্বিগুণ হবে, ফলনও বাড়বে।মনে রাখতে হবে, ডাল ছাঁটা তখনই শুরু করতে হবে যখন গাছের দ্রুত বৃদ্ধির পর্যায় শেষ হবে এবং নতুন পাতা গুলো গাঢ় সবুজ বর্ণের হবে।ডাল ছাঁটার পর্যায়ক্রমিক প্রকৌশলগুলি নিম্নরূপ:
১)
গাছের প্রথম পার্শ্বীয় ডালকে মূল কাণ্ড থেকে কাঙ্খিত উচ্চতা (প্রায় ১ মিটার) পর্যন্ত বাড়তে দিতে হবে।
২) চারা গাছের বর্ধিত কাণ্ডের ডগাটি কেটে দিতে হবে। কাটা কাণ্ড থেকে ৩-৪টি কচি শাখা শীঘ্র জন্মাবে। এই শাখাগুলোই গাছের প্রথম পার্শ্বীয় শাখায় পরিণত হবে এবং মূল কাণ্ডের সঙ্গে মোটামুটি ৪৫ ডিগ্রি কোণ করে শাখাগুলিকে (৩/৪টি) চতুর্দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩) ওই ৩-৪টি কচি শাখাকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাড়তে দিতে হবে এবং তার পর নতুন পাতাগুলো গাঢ় সবুজবর্ণের হওয়ার পর বর্ধিত ডালগুলো আবার কেটে দিতে হবে।
৪) এই ধরনের কাটা শাখার ডগা থেকে আরও ৩-৪টি করে কচি শাখা জন্মাবে। পূর্বে উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে এই শাখাগুলির ডগাও কেটে দিতে হবে।
৫) এই পদ্ধতি ২ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। ফলনশীল গাছে শেষ ডগা ছাঁটতে হবে ফল পাড়ার পরপরই।
(অধ্যাপক মোহম্মদ আবু হাসানের পরামর্শে কল্যাণীর অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট ইন প্ল্যান্ট প্রোটেকশন কর্তৃক প্রকাশিত)

[আরও পড়ুন: পেয়ারায় লক্ষ্মীলাভ, ‘গরিবের আপেল’ চাষ করে আয় হাজার-হাজার টাকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement