শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি : এক গাছে এক হাজার কমলা। নিজের উঠোনে কমলা গাছ বুনে ফলনে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রাথমিক স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তরুণী পাল। যেমন ফলন, তেমনই স্বাদ। ইতিমধ্যেই এই কৃতিত্বকে স্বাগত জানিয়েছে কৃষি দফতর। কৃষিমেলায় মাস্টারমশাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুরস্কার।
[ হিমঘরে পচছে আলু, আত্মঘাতী কৃষক]
জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব কুমারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তরুণীবাবু। তিনি গড়াল বাড়ি বিএফপি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। ২০১৬ সঙ্গে অবসর নেন তিনি। জানান, অবসরের পর সাধ করে বাড়ির উঠোনে একটি কমলা গাছ এনে বোনেন তিনি। এখন সেটি লম্বায় ২৫ ফুট। শীতের মরশুমে পাতা ঝরলেও কমলায় হলুদ হয়ে আছে গোটা গাছ। চারদিকে শুধু কমলা আর কমলা। পরিবার প্রতিবেশীরা খেলেও কমলা ফুরবার নয়। জানান, ফলন এক হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মোহিতনগর কৃষি মেলায় ইতিমধ্যেই পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি। জানান, এই পুরস্কার আরও উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়েছে তাঁর। বাড়ির পিছনে সুপারি বাগানও রয়েছে। সেই বাগানের পাশে কমলা বাগান করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। একাজে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি দফতর এবং উদ্যান ও পালন বিভাগ।
জলপাইগুড়ি সদর সহ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) পাপিয়া ভট্টাচার্য জানান, যে আন্তরিকতা নিয়ে মাস্টারমশাই কমলা ফলিয়েছেন তা সত্যিই নজরকাড়া। এক গাছে এত কমলা ভাবাই যায় না। তবে জলপাইগুড়ির আবহাওয়া কমলা চাষের জন্য উপযুক্ত। এব্যাপারে কৃষকদের উৎসাহিত করবেন তাঁরা। পাশাপাশি মাস্টার মশাইয়ের কমলা বাগান তৈরি করতে সমস্ত রকমের সাহায্য করা হবে বলে জানান তিনি।
ছবি: সুবীর এস
[ আন‘সেফ’ ড্রাইভ, হেলমেটহীন বাইক সওয়ারি হয়ে বিতর্কে বিধায়ক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.