Advertisement
Advertisement
Purulia

আষাঢ়ের শেষেও বৃষ্টি নেই, জলাধারের জলেই ধানচাষ পুরুলিয়ায়

জুনের নিরিখে পুরুলিয়ায় বৃষ্টির ঘাটতি ৬৪.০৮ শতাংশ।

There is no rain in Purulia, reservoir water is used for paddy cultivation

জলাধারের থেকে জল নিয়ে ধান রোপণের কাজ চলছে। পুরুলিয়ায়।

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:July 13, 2024 4:55 pm
  • Updated:July 13, 2024 4:55 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: প্রায় দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে চলল জুলাইয়ের। আষাঢ়ের শেষেও বৃষ্টির দেখা নেই পুরুলিয়ায়। জুন থেকে হিসাব করলে এখনও এই জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। জুনের নিরিখে পুরুলিয়া জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি ৬৪.০৮ শতাংশ। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত তা আরও বেড়ে গিয়েছে। ফলে জলাধারের জলেই হচ্ছে ধান রোপণের কাজ। 

এই বিষয়ে পুরুলিয়ার কৃষি দপ্তরের যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা (পার্সোনাল- ইনফরমেশন) সুশান্ত দত্ত বলেন, “জুনে বৃষ্টির ঘাটতি ছিলই। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেই ঘাটতি আরও বেড়েছে। এখনও এই জেলায় ধান রোপণের কাজ শুরু হয়নি। পুরোপুরি তৈরি হয়নি বীজতলাও।” পুরুলিয়া জেলার কিছু অংশে জলাধার থেকে জল নিয়ে ধান রোপণের কাজ চলছে। এই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে শুক্রবার ৩০.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে জেলায়। সাম্প্রতিককালে যা একদিনে হয়নি। কয়েকদিন ঝিরঝিরে ও মুষলধারে বৃষ্টিতে পুরুলিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নেমে গিয়েছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গাছের পুষ্টি জোগান, কীটশত্রু দমনে কৃমির জুড়ি মেলা ভার]

শুক্রবার এই জেলার সর্বোচ্চ ছিল ৩৫. ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বরাবাজার ব্লকে। ওই ব্লকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫৮ মিলিমিটার। এর পরেই রয়েছে কাশীপুর। সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ৫৬.২ মিলিমিটার। বৃষ্টি ওই ব্লকগুলোতে আমন ধানের পক্ষে সহায়ক হয়ে উঠেছে। কম বৃষ্টি হয়েছে বাঘমুণ্ডিতেও। ৫.২ মিলিমিটার। এভাবে বৃষ্টি না হলে গতবারের মতো এবারও আমনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। সবেমিলে আষাঢ়ের শেষেও বৃষ্টি না হওয়ায় চিন্তায় কৃষকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement