Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bankura

ডিভিসি ও বৃষ্টির জলে ভাসছে বিঘার পর বিঘা! সোনামুখীতে বেশি দামে আলু কিনছে সরকার

সুফল বাংলা স্টলে তা বিক্রি করা হবে।

State government buys potatoes from farmers in Bankura

জলের তলায় আলু চাষের জমি। নিজস্ব চিত্র

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:February 22, 2025 3:35 pm
  • Updated:February 22, 2025 3:40 pm  

অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: ডিভিসির ছাড়া জলে ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষিদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। বাজারদরের থেকেও বেশি দামে আলু কিনছে রাজ্য। সুফল বাংলা স্টলে তা বিক্রি করা হবে। সরকারের এই উদ্যোগে খুশি সোনামুখী ব্লকের নিত্যানন্দপুরের আলু চাষিরা।

শুক্রবার সকালে এক দিকে বৃষ্টি অন্যদিকে ডিভিসির ছাড়া জলে কৃষকদের আলু জমি প্লাবিত হয়েছিল। জলের স্তর বেড়ে যাওয়ায় বাঁকুড়ার সোনামুখীর প্রায় ৭০ বিঘার বেশি জমি জলের তলায় চলে যায়। দুশ্চিতা গ্রাস করে কৃষকদের। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। শুক্রবার বিকেলেই কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেন সোনামুখীর বিডিও প্রিয়াঙ্কা হাটি, কৃষি আধিকারিকরা এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন আলু কিনবে সরকার। সেই মতো বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন কৃষকদের থেকে বাজরের থেকে বেশি দরে আলু কিনতে শুরু করেছে। বেসরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ফোরেরা আলু কিনছে কেজি প্রতি ৫ টাকা করে।

Advertisement

সেখানে এই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছ থেকে সরকার আলু কিনছে দশ টাকা প্রতি কেজি দরে।ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “সরকারিভাবে আলু নেওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। জলে ডুবে থাকা আলু বাজারে বিক্রি করতে গেলে অনেক কম দাম পেতাম। রাজ্য সরকার এই আলু কিনে নেওয়ার আমরা দ্বিগুনেরও বেশি টাকা পাচ্ছি।” ক্ষতিগ্রস্ত আরও এক কৃষকরা বলেন, “আলুর দাম ব্যবসায়ীরা তাঁদের মর্জি মত বলছিল। তাতে আমাদের চাষের খরচ অর্ধেকও উঠত না। মহাজনদের ধার নেয়ার টাকা এখনো শোধ করতে পারিনি। খুব চিন্তাতে ছিলাম।” বাঁকুড়া জেলা এগরি মার্কেট (প্রকিওরমেন্ট) বিভাগের আধিকারিক উত্তম হেমব্রম বলেন, “আমরা বেশ কিছুদিন ধরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ১০ টাকা কেজিতে চাষিদের কাছ থেকে আলু কিনেছি। তা সুফল বাংলা স্টলে বিক্রয়ের জন্য পাঠানো হচ্ছে।”

অন্যদিকে, আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুয়ায়ী, শনিবার দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ায় পরিবর্তন হবে উত্তরবঙ্গে। তাতে দার্জিলিং পাহাড়ের পাশাপাশি জলপাইগুড়ির সমতলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতেই ক্ষতির আশঙ্কায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আলু চাষিদের কপালে। ক্ষতির হাত থেকে আলু চাষিদের রক্ষায় ময়দানে নেমে পড়েছে কৃষি দপ্তর। কৃষি দপ্তরের রিপোর্ট বলছে, এই বছর জলপাইগুড়ি জেলায় ৩৪ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আবহাওয়া সংক্রান্ত বার্তা কৃষকদের পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টির শঙ্কা কাটার পরেই আলু চাষিদের মাঠ থেকে আলু তোলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে উপ অধিকর্তা জানিয়েছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub