শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: কাশ্মীরে আপেল (Apple) বাগানে কাজ করতে গিয়ে জঙ্গিদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন সাগরদিঘির বাহাল নগরের পাঁচ শ্রমিক। মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন সাগরদিঘির কাশ্মীর ফেরত শ্রমিকদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে একশো দিনের প্রকল্পে জেলায় প্রথম আপেল চাষ শুরু করে দশ একর জমিতে। সাগরদিঘির কৃষি ফার্মের জমিতে ৩০০ চারা পুঁতে শুরু হয় আপেল চাষ। কাশ্মীর ফেরত ২২ জন শ্রমিককে কাজে নিয়োগ করার কথা ছিল। আশায় বুক বেঁধে ছিলেন শ্রমিকরা। যদিও তাঁদের সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি।
কাজ পেয়েছেন নুর সালাম নামে মাত্র এক শ্রমিক। ছ’মাস কাজ করেও এক টাকাও না মেলায় ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে। করোনার প্রকোপ কমলেই লকডাউনের পরিস্থিতি কাটিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেই তাঁরা রুজির টানে ফের কাশ্মীরে আপেল বাগানে কাজে যাওয়ার জন্য প্রহর গুনছেন। কিন্তু ওই আপেল বাগানে কাশ্মীর ফেরত প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ শ্রমিকদের কাজে না নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। পাশাপাশি রয়েছে সঠিক পরিচর্যার অভাব? যার ফলে বাগানের আপেল গাছগুলি মারা যেতে শুরু করেছে।
নুর সালাম জানান, “আমরা ২২ জন শ্রমিক কাশ্মীর থেকে ফেরত এসেছিলাম। আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আমাকেই কেবল কাজে নেওয়া হয়েছিল। বাকিদের কাজে নেওয়া হয়নি। আমাকেও ঠিকভাবে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এখন তো প্রায় বেকার অবস্থায় বাড়িতে বসে দিন কাটাচ্ছি। এই আপেল বাগানে ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। তাছাড়াও আমি এখনও পর্যন্ত কোনও পারিশ্রমিক পাইনি। তাই সেই কাশ্মীরে ফিরে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।” তাঁর আরও অভিযোগ, অভিজ্ঞ লোক দিয়ে ঠিকমতো কাজ না করার দরুণ এখানকার আপেল গাছগুলি মরে যাচ্ছে। প্রশাসনিক উদাসীনতায় লাভজনক আপেল চাষ আজ ক্ষতির সম্মুখীন।
এপ্রসঙ্গে সাগরদিঘির বিডিও শুভজিৎ কুণ্ডু বলেন, “আপেল চাষের জন্য আলাদা কোনও আর্থিক অনুদানের বন্দোবস্ত নেই। একশো দিনের প্রকল্পে কাজ চলছে। যখন এই প্রকল্পের টাকা আসবে। তখন তা দেওয়া হবে। লকডাউন ও বর্ষার জন্য একটু সমস্যা হয়েছিল। পরিচর্যার কাজ শুরু হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.