রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: দু’বছরের চেষ্টায় জলঙ্গী নদীর বুকে প্রায় ৭ কাঠা এলাকা জুড়ে পদ্ম ফোটাতে সক্ষম পেশায় এক আরপিএফ কর্মী। নাম নিশীথ মণ্ডল, বাড়ি পলাশিপাড়া থানার হাঁসপুকুরিয়া গ্রামে। তাঁর শখ বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফুলের গাছ লাগানো।
নিশীথ মণ্ডল জানান, স্কুল জীবন থেকেই তাঁর বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফলের গাছ লাগানোর শখ। বিশেষ করে হারিয়ে যাওয়া দুষ্প্রাপ্য গাছগুলি লাগিয়ে পরিচর্যা। “চাকরি জীবনে যেখানেই যাই না কেন সেখানেই কোনও না কোনও গাছ লাগিয়ে তাদেরকে বড় করে তুলি, বদলির নির্দেশ আসলে সেখানে যারা দায়িত্বে থাকে তাঁদেরকে বলে আসি দেখাশোনা করার জন্য। সেই রূপ ধারে কাছে কোনও জলাশয় না থাকায় জলঙ্গি নদীতে পদ্ম ফোটানোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করতে থাকি। অবশেষে দু বছর আগে নদীর বুকে প্রায় সাত কাঠা জায়গা পছন্দ করে বাড়ির চেম্বার থেকে পদ্মের চারা তুলে নদীর বুকে রোপন করি, এবছর প্রচুর ফুল ফুটেছে, নদীর শোভা পালটে গিয়েছে, দেখার জন্য অনেক মানুষ ভিড় করছেন। এমনকী নদিয়ার পাগলাচণ্ডীতে একটি জলাশয়ে পদ্মের চারা রোপণ করেছি, আশা করছি সামনের বছর ঐ জলাশেও ফুল ফুটবে।”
অনেকেই পদ্ম ছিঁড়ে ফেলেন দেখতে এসে। সেই কারণে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন কয়েকন যুবক। পদ্মের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রভাকর হাজরা জানান, “নিশীথবাবু বড় শখের মানুষ, সরকারি চাকরি করেন। তাঁর শখ বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফলের গাছ লাগানো। আগে বাড়িতে চৌবাচ্চার মধ্যে পদ্ম ফোটানোর পরে নদীতেও পদ্ম ফুটিয়েছেন। গত দু’বছরের চেষ্টায় জলঙ্গী নদীর বুকে প্রায় সাত কাঠা জায়গা জুড়ে পদ্মের চারা রোপন করে এবছর সাফল্য পেয়েছেন। পাশেই হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এমনকী পদ্ম বাগান দেখতে আসা অনেকেই ফুল ছিড়ে নষ্ট করে দেয়। যে কারণে দেখাশোনা করার জন্য বেশিরভাগ সময় আমার মত আরও কয়েকজনকে নদীর পাড়ে বসে থাকতে হয়।”
গ্রামের বরুণ সিনহা, ভাদু হাজরা, সরজিৎ মণ্ডলরা জানান, “পাঠ্যপুস্তকে পড়েছি পাকে পদ্ম জন্মায়়, গ্রামের চাকরিজীবী ছেলে নদীর বেলে মাটিতে পদ্ম ফুটিয়ে গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করেছে। অনেক মানুষ দেখতে আসছে, নিশীথবাবু কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসার সময় আগে পদ্ম বাগান দেখে তারপরে বাড়িতে ফেরেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.