Advertisement
Advertisement
Paschim Medinipur

ভিলেন অকাল বর্ষণ, রাজ্যে আলু চাষে ক্ষতির আশঙ্কায় মাথায় হাত কৃষকদের

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা।

Potato Farmers of Paschim Medinipur worried due to rain in March

প্রতীকী ছবি।

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:March 20, 2024 9:43 pm
  • Updated:March 20, 2024 11:12 pm  

সম্যক খান, মেদিনীপুর: সকাল থেকে মুখভার আকাশের। দেখে বোঝা মুশকিল বর্ষা না ভরা বসন্ত। রাজ্যজুড়ে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। পশ্চিম থেকে উত্তর সব জায়গাতেই বাড়বে বৃষ্টির দাপট। এই অকাল বর্ষণের জেরে ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আলু চাষে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ৪০ শতাংশ আলু এখনও মাঠে পড়ে আছে বলে দাবি কৃষকদের। কৃষিদপ্তরের আশঙ্কা বৃষ্টি আরও কয়েকদিন হলে মাঠে আলু নষ্ট হয়ে যাবে। 

জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিম মেদিনীপুরে গড়ে ১৭.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ইতিমধ‌্যেই অনেক আলু জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। জেলা কৃষি দপ্তরের সহ অধিকর্তা মৃদুল কুমার ভক্তা জানিয়েছেন, জেলার প্রায় ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। যার মধ‌্যে প্রায় ৬০ শতাংশ আলু জমি থেকে তোলা হয়েছে। তবে চিন্তা বাকি ৪০ শতাংশ আলু নিয়ে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আবর্জনা ভেবে পোড়াবেন না, নাড়াই সম্পদ, জেনে নিন বিশেষজ্ঞের মত]

বৃষ্টি শুরু হতেই ব্লক কৃষি আধিকারিকদের রিপোর্ট সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। এখনও বড় ধরনের ক্ষতির কোনও রিপোর্ট আসেনি বলেই খবর। তবে আগামী দুই-তিন দিন লাগাতার বৃষ্টি হতে থাকলে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকছে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বুধবার সকালেও রোদের দেখা মেলেনি। কখনও ঝিরঝির বৃষ্টি। কখনও আবার ভারী বর্ষণও হয়েছে জেলায়। খড়গপুর (Kharagpur) দুই নম্বর ব্লকের গোপালপুরের কৃষক নবীন সামন্ত বলেন, “এবছর প্রায় তিন বিঘা জমিতে আলুচাষ করেছি। কয়েক দিনের মধ‌্যে আলু তুলে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। মাঠে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। জল না নামলে আলু তোলা সম্ভব নয়। ফলনের ক্ষতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।”

একইভাবে চিন্তায় রয়েছেন গড়বেতার (Garhbeta) উপরশোলের কৃষক ফিরোজ আহমেদও। তাঁর কথায়, “মহাজনের কাছে চড়া সুদে টাকা ধার নিয়ে সাত বিঘা জমিতে আলুচাষ করেছি। দুই বিঘা জমির আলু তুলতে পেরেছি। ফলনও ভালো পেয়েছি। কিন্তু পাঁচ বিঘা জমির আলু মাঠেই পড়ে আছে। সেই ফলন কতটা ভালো অবস্থায় ঘরে তুলতে পারব তা জানি না।” বার বার বৃষ্টির জেরে আলুর চাষ ক্ষতির ফলে সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: খাবারের প্লেটে বাড়ছে কাঁকড়ার চাহিদা, সঠিক পদ্ধতিতে চাষের পথ দেখালেন বিশেষজ্ঞ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement