Advertisement
Advertisement
আলু

আবহাওয়ায় খামখেয়ালিপনায় আলুর নাবিধসায় উদ্বিগ্ন কৃষক, প্রচারেই ভরসা কৃষি দপ্তরের

কৃষি দপ্তরের পরামর্শ মেনে নিয়মিত ওষুধ দেওয়া হচ্ছে আলু গাছে।

Potato cultivation damaged due to weather in Bankura
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 1, 2020 3:21 pm
  • Updated:February 1, 2020 3:21 pm  

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আলুর নাবিধসা রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। রোগ মোকাবিলায় কৃষি দপ্তর পরামর্শও দিচ্ছে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ায় আলুর নাবিধসা রোগ কতটা ঠেকানো যাবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাঁকুড়া জেলার চাষিরা।

বাঁকুড়া জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, বাঁকুড়ায় এবার মোট ৫২ হাজার ২৩৪ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই বিষ্ণুপুর মহকুমায়। রোগের প্রাদুর্ভাব যেভাবে বাড়ছে এবং আক্রান্ত এলাকা ক্রমশ বাড়বে বলে চাষিদের আশঙ্কা। বাঁকুড়া জেলা কৃষি দপ্তরের আধিকারিক সুশান্ত মহাপাত্র জানান, “এ রকম প্রতিকূল আবহাওয়ায় নাবিধসা রোগের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা আছে। রোগের আগাম প্রতিরোধ এবং প্রতিকার নিয়ে সচেতন করতে চাষিদের লিফলেট বিলি করা হচ্ছে, মাইকে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করতেও বলা হয়েছে।” জেলা জুড়ে সচেতনতা চলছে বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। নাবিধসা রোগ প্রতিকারে কৃষি দপ্তর যে সব প্রতিকারের কথা বলছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, আক্রান্ত জমিতে সেচ দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে। আর ছ’রকমের ছত্রাকনাশকের নাম উল্লেখ করে তার মধ্যে যে কোনও একটি স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এমনিতেই এবার বিক্ষিপ্তভাবে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। রাতে ঘন কুয়াশা আর সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টিতে এই রোগের প্রকোপ আরও বাড়বে বলে চাষিদের আশঙ্কা। বৃষ্টির পর রোদ উঠলেও, সেই ভ্যাপসা আবহাওয়াই ছত্রাকঘটিত ওই রোগ আরও বাড়বে বলে কৃষি দপ্তরও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কোতুলপুর লাগোয়া হুগলি জেলার কামারপুকুরে এদিন শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। সেই জল মাটির তলায় পৌঁছলে আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কা। সব মিলিয়ে চাষিরা দিশেহারা। ইতিমধ্যেই কোতুলপুর লাগোয়া আরামবাগ মহকুমার বেশ কিছু জমির আলু নাবি ধসায় আক্রান্ত হয়েছে বলে বাঁকুড়া কৃষি দপ্তরের কাছে খবর এসেছে।

[আরও পড়ুন: বেশি ফলন চাইলে আজই শুরু করুন আমগাছের পরিচর্যা, রইল টিপস]

ফলে আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন বিষ্ণুপুর মহকুমার আলু চাষিরা। কোতুলপুরের আলু চাষি রবীন বরাট, সমীরণ বাড়ুই, রবীন মালিকরা বলেন, “কৃষি দপ্তরের সুপারিশ মতো ১২শো থেকে আড়াই হাজার টাকা লিটার দরে কেনা ওষুধ প্রয়োগ করে নাবিধসা নির্মূল করা যাচ্ছে না। গাছের পাতা, ডাল এবং কাণ্ডে বাদামি রঙের ক্ষত তৈরি হচ্ছে। সেই ক্ষত খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে গোটা গাছে পচন ধরাচ্ছে। গাছ কালো হয়ে যাচ্ছে এবং মাটির তলায় থাকা আলুতে পচন ধরছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement