শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: আনারস চাষে মনোযোগ বাড়ছে কৃষকদের। ভালো লাভ এবং উচ্চমানের ফলনের জেরে বেশিরভাগ কৃষক আনারস চাষের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। উত্তর দিনাজপুরে চোপড়া ব্লক আনারস চাষের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। চোপড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমিতে প্রতি বছরই প্রচুর পরিমাণে আনারস চাষ হয়। সেই আনারস খুবই রসালো এবং সুস্বাদু প্রকৃতির হয়। তাই গোটা দেশজুড়ে চোপড়ার আনারসের সুনাম রয়েছে।
তবে মহকুমা উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ইসলামপুর মহকুমার চোপড়া ব্লকে সাড়ে চারশো হেক্টরেরও বেশি জমিতে আনারস চাষ হয়েছিল। তবে এবছর সেই চাষ সাড়ে ছয়শো হেক্টর এরও বেশি জমিতে হয়েছে। চাষের ক্ষেত্রে উদ্যানপালন দপ্তরের সহযোগিতা কৃষকরা পেয়েছেন। চোপড়া এলাকার যে পরিমাণ আনারস চাষ হয় তার বেশিরভাগই উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কলকাতা-সহ নেপাল এবং ভুটানের বাজারগুলিতে চড়া দামে বিক্রি হয়।
চোপড়া সংলগ্ন বিধাননগর উত্তরবঙ্গের সবথেকে বড় আনারসের বাজার। সেই জায়গা থেকেই মূলত দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই আনারস গুলি পৌঁছে যায়। চোপড়া এলাকার বড় অংশের মানুষের কর্মসংস্থান নির্ভর করে এই আনারস চাষের উপর। অতএব একদিকে যেমন কৃষকরা এই ফল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন এবং অপরদিকে বহু মানুষের কর্মসংস্থানও হচ্ছে আনার বাজারের মাধ্যমে। চোপড়ার বাসিন্দা বিপ্লব সিংহ বলেন, “যত দিন যাচ্ছে বহু কৃষকরা অন্যান্য চাষবাস বাদ দিয়ে আনারস চাষের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। কারণ আনারস চাষ করে আমাদের এলাকার কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের এখানকার জলবায়ু এবং মাটি আনারস চাষের জন্য খুবই উপযোগী। যার ফলে উচ্চমানের আনারস আমরা আমাদের জমিতে ফলাতে পারি।”
ইসলামপুর মহকুমা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক অনিক মজুমদার বলেন, “আমাদের মহকুমার চোপড়া ব্লকের মতো আনারস কোথাও চাষ হয় না। তবে সেই চাষিদের উৎসাহিত করতে প্রতিবছর সরকরি বিভিন্ন বাজারের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে আনারস কেনা হয়। এছাড়াও বহু কৃষকদের হাতে আনারসের উচ্চমানের বীজও তুলে দেওয়া হয়। ভালো ফলন এবং ভালো লাভের কারণে প্রতি বছরই চোপড়া ব্লকে আনারস চাষীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.