সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষিকে পুঁজি করেই বেঁচে থাকেন একদল মানুষ। রোদে পুড়ে, জলে ভিজে যাঁরা জন্ম দেন সোনার ফসলের। কিন্তু ঝড়বৃষ্টিতে নদীবাঁধে ক্ষতি হলেই সব শেষ। নোনা জলে ঢুকে নষ্ট হয়ে যায় ফসল। পরিশ্রমের পরেও মহাজনের ঋণ শোধ করতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে যান অসহায় মানুষগুলো। আমফানের পরেও তাঁদের অবস্থা ঠিক একইরকম। এই পরিস্থিতিতে বাংলার কৃষকদের সুখবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার থেকে নোনা জলেই চাষ হবে নতুন এক প্রজাতির ধান এবং মাছ।
কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার মুখ্যমন্ত্রীকে এই সুখবর দেন। তিনি জানান, কৃষিবিজ্ঞানীরা নোনা জলে চাষ হয় এমন একপ্রকার ধানের বীজ আবিষ্কার করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বুলবুলের সময়ে আমাকে প্রদীপদা প্রথম একথা বলেছিলেন। কৃষি দপ্তরের বিজ্ঞানীরা গোসাবার এক জায়গায় গবেষণা করেছিলেন। তারপর এটা আবিষ্কার হয়েছে। এটা আমাদের জন্য খুবই ভাল খবর। নোনা জলে চাষ করা ধান থেকে যে চাল উৎপন্ন হবে সেই ভাতের স্বাদও হবে সাধারণ চালের ভাতের মতোই।” এই ধান বীজের নাম ‘নোনা স্বর্ণ’। আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের যে সমস্ত চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকে গিয়েছে, সেই এলাকার কৃষকদের ‘নোনা স্বর্ণ’ বীজ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনেক সময় পুকুরেও নোনা জল ঢুকে যাওয়ার ফলে মাছ চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেক্ষেত্রে ওই পুকুরগুলিতে নোনা জলের মাছ চাষের বন্দোবস্ত করার কথা বলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মৎস্য দপ্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আলাদা করে নোনা জলের মাছ দেওয়ার নির্দেশ। ওই মাছগুলির নাম দিয়েছেন ‘স্বর্ণ মৎস্য’। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরেও যাতে কৃষকরা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারেন তাই এই উদ্যোগ রাজ্য সরকারের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.